পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুটিতে একখানা বড়ো দেখে ঘর বঁাধুক —তুফান এলে আমরা সবাই সেখানে গিয়ে উঠব।’ । ‘তাই বলে দেখব, যদি রাজি হয়।’ ‘যুাই বল ছেলের মা, ঐ তুফানেই দেখবে শেষে তলাবে তোমরা সবাই ।” তুফানের তো এখনো,দেরি আছে –দেখি এর মধ্যে যদি ছেলের স্ববুদ্ধি জোগায়। ‘জোগাবুে গো জোগাবে, সময় কালে জোগাবে যেমন জুগিয়ে থাকে অনেকেরই।’ ‘যদি না জোগায় ভাই —তবে উপায় কী ? নিরুপায়ে উপায় রুপায় –রুপোর তাবিজটা বাধা দিয়ে নোয়ার বালা একটা কষে দাও ছেলের হাতে, –দেখবে কিস্তিমাতের বেলায় ফল পাবে ।” “আমাদের তেনারই মতো।” এমনি তনার মতো করতে করতে তাবিজ পইচি, হামুলি,মাদুলি সব গেল ছিচৰ্কাকুনি বউটার। রইল ঘরের চারখানা ফুটে চাল, মেঝের ছেড়া মাত্র আর হেঁসেলের চুলোটা ষ্টা করে –তার মধ্যে বেঁধেছে উইচিংড়িকটা বাসা ! উঠানের কোণে মশলা বাট শিল বুকে নোড়া চাপিয়ে, আর কুয়োভলায় ফুটো ঘ - ট গলায় ফঁাসি দেবার দড়ি আগলে । সেইকালে অকাল পড়ল দেশে, আকাশ ছিল নীল, হয়ে উঠল ঘোর কালো। শুকতারা সন্ধ্যাতারা মিটি-মিটি করে যেন নিভতে চায় বাতাসে । হাওয়া মুর ফেরায়, ফুল ফোটাবার দিন আর আসে ন। ঝড়ে কাত হয়ে পড়ে ফুলের গাছ, মচকে যায় ফুলের ডাল। ছচিমচি হয়ে যার সারা মালঞ্চ । রাতের আকাশে চাদ উঠে না, বিদ্যুৎ খেলে। দিনের আকাশে ড়ে থেকে পড়ে বাজ। শুকনে কুয়ো ঘিরে ব্যাঙগুলো ড়াকে গজব বড়ো -গড় বড়ো—জড় নাই —জড় নাই। মুশকিল আসান মুশকিল আসান রব তোলে পাড়া। 《《이