পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সদর অন্দর তুটোর মধ্যে আঙিনা তারি উত্তর ধারে জয়ন্তী ভবনের ঠাকুর বাড়ি। উঠোনের একধারে তুলসীমঞ্চ সেখানে চাংড়া বুড়ি বসে হরিনাম করছেন রাতের মুখে চেয়ে। বাদশাবাবুর পায়ের সাড়া পেয়ে বললেন —‘এস বাদশা দাদা কী মনে করে।’ —‘চাই বুড়োর সঙ্গে দেখা করব দিদিমণি ? —তিনি এখন পুথি নকল করছেন, একটু রোসো ডাক দিই – ওগো শুনছ, বাদশাবাবু তোমাকে চান ? —‘ছ যাই, বলে চাই বুড়ে নামাবলি গায়ে বেরিয়ে এসে বললেন —‘কী চাই দাদাভাই ।” —‘হনুমানে সব কলা খেয়ে যাচ্ছে এর উপায় কি ? —‘উ-পা-য় বলে চাই বুড়ো তিনবার তেলা মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, —‘কলিকাল না হলে উপায় হত কলা বাগান বঁাচাবার।’ —“তবে ? —তবে আর কী বাদশাবাবু —কলার আশা ছাড় । চা খাও, টোস্ট খাও, হ্যাপি বয় খাও, টফি খাও, কফি খাও —’ চাংড়া বুড়ি শুনে বললেন –‘ওগো তুমি যে কবাতে শুরু করল। বাদশাদাদার কি উপায় হবে তাই বল |’ —“হবে হবে, উপায় উনি করবেনই, সে ভাবনা নেই। ভাবন। আমার মতো লোকের যারা পুথি নকল করে আর থেকে থেকে কবায় ।” —‘তুমি কিসের পুথি নকল করেছিলে চাইবুড়ে ? —ব্যবকলনের পুথি দাদা ? —‘সে পুথি কেমন দেখাও না।’ —সে দেখতে হয় না বাবু শুনতে হয়। ব্রাহ্মণকে দুবেলা পাঠার ঝোল মেটিলীর চচ্চড়ি খাইয়ে।’ —‘আমি সেই পুথি শুনবে চাইবুড়ে। —খাতাঞ্চিমশায়ের হুকুম আনে। অমনি তো হয় না। উঠান জুড়ে ফরাশ বিছোতে হবে, চাদামাল সাজাতে হবে, সামনের ¢ ዓbr