পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা ছুটেছেন মউর উদ্যানে, রামচন্দ্রকে অধিবাস করিয়ে মুনি-ঋষির ছালা বেঁধে বাসায় ঢুকছেন। —তারপর ? তারপর আর কি। ঘড়ি পড়ল সায়নের। সারা দিনের খাটুনি, শুয়েছি না ঘুম বলে কোথায় আছি। তবু কান খাড়া রেখেছি —কে কী বলা কওয়া করে। এমন সময় শুনি রাজদোরে রথের ঘড়ঘড়ানি —বলি, বুঝি রাম অভিষেক দেখতে সামস্ত কি কেউ লক্ষ্মীমন্ত এল । কিন্তু মেজোরানীর অন্দর –সেদিকে তো কেউ আসে না। কে এল তবে ? রথের গুরু গুরু শুনে মউর উদ্যানের মউরগুলো ‘কে কৈ’ ‘কে কৈ’ বলে ডাক দিয়ে চটকা ভাঙিয়ে দিতেই সজাগ হয়ে শুনলে যা তা আর বলবাব নয়। রথ এক এল আর এক ফিরল, আবার এল আবার ফিরল –এমনি চলল কতক্ষণ । —“তারপর ? —তারপর আর কি —জেগেই দেখবি তো দেখ মন্থরার মুখ! যেমন দেখা অকস্মাৎ শিরে বজ্রাঘাত। মন্থরীর মুখে হাসি দেখলেম। —দেখলে ? —ইগো রাম দাসী, তুমি যে অবাক হলে ? —হাসিট কেমন দেখলে ? —রাহু যখন সূর্যের এক চোকলায় কামড় দিয়ে হাসে সে হাসি —দেখেছিস তো ? —না দিদি অন্দরে থাকি সূর্যের মুখ কালভদ্রে দেখতে পাই— ভাদ্র মাসে গরম কাপড় রোদে মেলাতে । —আচ্ছ, ঘুটে যখন পোড়ে গোবরের হাসি তো দেখেছিস ? –ধুমায়চোখে জল আসে দেখব কী করে ? —তবে তো নারলেম তোকে বোঝাতে মন্থরীর হাসি কি প্রকার, ভাল, কত রকম হাসি দেখেছিস বল তো শুনি । @bro -