পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা কে শোনে ? ছোটোটা বলে, “বাপ তোমার কাছে ধন রেখে গেছে, বড়োটা বলে, “ধনও জানি না, কড়িও জানি না —এই দড়ি কলসি আছে, গলায় বেঁধে চাস তো ঐ ডোবার তলায় নেমে গিয়ে দেখ গা, তিন ঘড়া ধন পোতা আছে না কি ? এই তো কনিষ্ঠের কান্না শুনে পাড়ার লোক ছুটে এল । সবাই বলে –টাকা বার কব। কেউ ছোটে তেমাথায় গতি হাতে, কেউ টানায় ডোবাটায় জ’ল –ইট পাটকিল কাদামাটি ছাড়া কিছু হাতে ঠেকে না। ঘড়ার সন্ধান কুরতে ঘরের মেঝে খুঁড়ে ডোবার চারপাশ খুঁড়ে গজগীর পুকুর কেটে ফেললে কোদাল পেড়ে। অরণ্যের মধ্যে কুডেখানি ছিল, তা গেল। যখন জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠকে বললে – ভাইরে, আপ্ত ভেদ করিয়া করিলা কিবা কর্ম গুপ্তধন খুজে এমন মর সাতজন্ম ।’ তখন ছোটোট। রাগত হয়ে বড়োকে বললে, “কি বললি, আমি মবব ? তোরে মেরে তবে মরব –দে আমার তিন ভাগের পাঁচ ভাগ " পাচ ভাগের তিন ভাগ বল, হস্তিমূখ। ভাগ জান না, ভাগ চাও ? যেমন এই কথা বলা, অমনি ছোটো ধরেছে বড়োটার নাক কামড়ে ; বড়োটা ধরেছে চেপে তার টুটি । ধস্তাধস্তি করতে করতে দুটোতে ডোবায় গিয়ে পড়া আর ডুবে মরা। মানিক বাদে ভেসে উঠে ডাঙায় এসে লাগা আর শুকুনের পেটে যাওয়া। হ্যাল দুজনার হাড়গোড় নিয়ে কচুবনে টেনে ফেলালে। হায় ধনাশা জীবননাশা নে "থায় তার শেষ, জীবনাশা পলায়, ধনাশা রহে যায় – হাড়ে বেঁধে বাসা অঁাকড়ে পাজর-দেশ । &να