পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰেম সূর্যের রথ টেনে ক্রমে পিছিয়ে চললেন, তফাত হো তফাত হো বলতে বলতে । সোনালিয়া বলতে লাগল, আসছেন আসছেন, কুঁকড়ে ছাপাতে হাপাতে বললেন, ওপার থেকে এল রথ ঠিক সেই সময় শালবনের ওপার থেকে সূর্য উদয় হলেন সিন্দুরবরন । কুঁকড়ে মাটিতে বুক ঠেকিয়ে স্বর্ষের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে বললেন, আঃ, আজকের সূর্য কত বড়ো দেখছো সোনালির ইচ্ছে, কুঁকড়ে সূর্যের জয় দিয়ে একবার গান করেন। কিন্তু গলার সব মুর খালি করে তিনি আজ সকালটি এনেছেন আর র্তার সাধ্য নাই গাইতে । যেমন এই কথা সোনালিকে কুঁকড়ে বলেছেন, অমনি দূরে দূরে সব মোরগ ডেকে উঠল উরু-উরু-রু-রু-রু’। কুঁকড়ো শুকনো মুখে বললেন, আমি নেই-বা জয় দিলেম, শুনছ দিকে দিকে ওরা সব তুরী বাজিয়ে তাব উদয় ঘোষণা করছে।’ সোনালি শুধলে, ‘সূর্য উঠলে পর তুমি কি কোনোদিনই তার জয়-জয়কার দাও না ? তোমার নবতখানায় সোনার রোশনচোঁকি সূর্যেব জয় দিয়ে কি কোনোদিন বাজাও নি।’ একটি দিনও নয়’ বলে কুঁকড়ে চুপ কবলেন। সোনালি একটু ঠেস দিয়ে বললে, সূর্য তো তা হলে ভাবতে পারেন অন্য সব মোরগের তাকে উঠিয়ে আনে। কুঁকড়ে বললেন, তাতেই-বা কী এল গেল।’ সোনালি, আরো কী বলতে যাচ্ছে, কুঁকড়ে তাকে কাছে ডেকে বললেন, ‘আমি তোমায় ধন্যবাদ দিচ্ছি, তুমি আমাব কাছে আজ না দাড়ালে সকালের ছবিটা কখনোই এমন উৎরতে না । সোনালি কুঁকড়োর কাছে এসে বললে, ‘তুমি যে সকালটা করতে সূর্যের রথ বনের ওধার থেকে টেনে আনতে এত কষ্ট করলে তাতে তোমার লাভটা কী হল। কুঁকড়ে বললেন, ‘পাহাড়ের নিচে থেকে ঘুমের পরে জেগে ওঠার যে সাড়াগুলি আমার কাছে এসে পেীচচ্ছে, সেইটেই আমার পরম লাভ ? সোনালি সত্যিই শুনলে, নিচে থেকে দূর থেকে কাছ থেকে কী-সব শব্দ আসছে। সে পাহাড়, থেকে মুখ কুকিয়ে চারি দিক চাইতে লাগল। কুঁকড়ে চুপটি করে চোখ বুজে বসে বললেন, কী শুনছ সোনালিয়া, বলে।’ st 8