পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথামালার দেশ তখন মাসি-পিসি বার হবার বয়েস গেছে । মাথার তেলোয় চুল গজান বন্ধ মাড়ি ফুড়ে আক্কেল দাতও ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। কেবল পাকা দাড়ি-গোফ হাত-পায়ের নখ ক’টার উৎকর্ষের উৎসাহবশে বেরিয়ে পড়ার উৎকণ্ঠার উৎপাত ক্ষুর নরুণ র্কাচি কাস্তে উখো খররা চালিয়েও দাবান গেল না। তাদের এক কথা—আমরা চলব বাহিরে। তুমি চলতে না-চাও তো কার কি ? দাড়ি যে গোনা যায় না এতগুলো আকুঞ্চিৎ আঙুল দিয়ে হই পায়ের বুড়ো আঙুলে আমায় সুড়সুড়ি দিয়ে বলে –দেখ তোমার পায়ের আগা চুলকোচ্ছে। এবার নিশ্চয় দেশ পর্যটন আছে তোমার কপালে । আমার বুড়ো আঙল জোড় খঞ্জনের কাটা লেজের গোড়ার মতো চমকে দু-বার নেড়েই ঠাণ্ডা। ঠিক যেন চিৎপুরের লুঙ্গি বাবার বুড়ো-আংলা ছুটে চেলা এক ঠেঙে দাড়িয়ে স্মৃয্যির দিকে চেয়ে ঘোরতর তপিস্তে করছিল। হঠাৎ পায়ে পিপড়ে কামড়াতে একটু সজাগ হয়ে আবার ধ্যানস্থ হল । গোফছটো দুষ্ট ছেলের মতো সলতে পাকিয়ে কানে সুড়সুড়ি দেয় থেকে থেকে ঘুম ভাঙাতে চেয়ে ; বলে –জাগ না, শোন না ! গোফ আর দাড়ির শিয়রে বসে আছে, থাবা গেড়ে কথামালার ঘুমন্ত সিংহ মস্ত দুটাে নাকের ছেদ ফুলিয়ে। ছোটো একটা গোফ রংটা তার নেংটি ইরের মতো শিলাট-কালো। সে থেকে থেকে সরু লেজটা সিংহের নাকের মধ্যে চালিয়ে দেয়, অমনি সিংহ গর্জন, করে এক খুৎকার ছেড়ে থাবাকে ডাকে, থাবা ঘুমের ঘোরে উঠে এসে দাড়ির টুটি চেপে ধরে উকুন বাছতে বসে যায়। ভূতপত্রীর দেশ থেকে মন-মমুয়ার পাখিটি আমার হারুন-অল ہ (ماوا