পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেখা কথকতার পুথি । পৃথিবীতে যা কিছু হালকি জিনিস আছে তালপাত, শালপাত, তুলোট খাত, হরিণ ছালের ছিলকে, মাছের পেটের পটকা তিমি মাছের আঁশ —তাদের চেয়ে পাতলা ছিষ্টিছাড়া কী একরকম কাগজে লেখা খানিকটা যেন, এক এক পর্দা আবের উপরে "এ-প্লিঠ ও-পিঠ করে লেখা নরুণ দিয়ে আঁচড়ে –একেবারে যাকে বলে অতি অপূর্ব পুরাতন কথামালা পুস্তিকা –সাহিত্য পরিষদে নেই, গুরুদাস লাইব্রেরিতেও নেই, স্বয়ং বিদ্যাসাগরের ঘরেও নেই, যা এমন জিনিস সেটি। আর সবচেয়ে মজার কথা – বই পড়তে চশমা নিতে হয় না --বইখানি চোখের উপর ধরলেই হল-- একটি একটি কথা মূর্তিমান হয়ে এসে সামনে হাজির হয়, কথা বলে, গান গায়, নাচে আবার নেপথ্যে চলেও যায় । ঘণ্টা বাজিয়ে প্রবেশ করে, ঘণ্টা দিয়ে চলে য়ায় । ...সকলে বিলে ত থেকে যখন ভাল ভাল খেলনা আমদানি হত, তখন এই রকমের সব বই আসত। এক একটা ছবির পাতা ওলটাও আর সঙ্গে সঙ্গে আরর্গিন বাজছে, ঘোড়া নাচছে, ষোড়ার পিঠে সওয়ার ডিগবাজী খাচ্ছে, কুকুর হুপ করে তেড়ে যাচ্ছে, বেড়ালকে, বেড়াল লাপিয়ে উঠেছে গাছে, সঙ্গে বাজছে আর্গিন । কহবতী কোথা থেকে পেলে এ জিনিস শহরে তাই ভাবছি। বইখানা পেলে একবার বুেড়ে-চেড়ে দেখার ইচ্ছে হলে কেমন ঠিক নয় ? সেটি হবার যে নেই, সে আমার লোহার সিন্দুকের মধ্যে । একটা গান ছাপিয়ে দিলেম, পড়ে দেখ কতকটা বুঝবে কী জিনিস লুকোন আছে আমার মরচে-ধর লোহার সিন্দুকে । —তারা বুড়ির একতারা নৃত্যশীত – যথা— বাজে এক স্বরে একতারা প্রিং প্রিং প্রিং • ফোটে তিন রঙে তিন তার এক দুই তিন বঁাশ পাতায় ঝিঝির ডানা শব্দ দেয় • Hම්ම්