পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ে চড়ায়ের দিকে ফিরে বললেন, কী কুক্ষণে শহুরে কেবলই তুমি ভয়ে-ভয়ে আছ, পাছে কেউ তোমার শহুরে খোলস খুলে নেয়। নকল-শহুরে ! তোমার চলন নিজের নয়, বলন নিজের নয়, কেননা তোমার আনন্দ নেই, আছে কেবল ধরা-পড়বার ভয় । তুমি নিজেকে পছন্দ কর না কাজেই অন্তকেও ভালোবাস না । তোমার কী নাম দেব ? তুমি জ্বলন্ত সলতের পোড়া গুল, তোমাকে কাচি দিয়ে ছেটে দেওয়াই দরকার।’ চিনি-দিদি বলে উঠলেন, ‘বেশ বেশ ।” চড়াইট ল্যাজ-গুড়িয়ে এক কোণে সরে পড়ল, আর পেরুর উপরে এই অপমানের ঝালটা পাড়তে গেলে কোনো বিপদে পড়বে কি না সেটা মনে মনে বিচার করতে লাগল। ঠিক এই সময় দূর থেকে চিড়িয়াখানার মালিক ডাক দিলেন, ‘আয়—আঃ—আয় আঃ ! অমনি সব পোশাকী মোরগ সেই দিকে দৌড় দিলে। م চিনি-দিদি বললে, ‘চললে নাকি । চললে নাকি । ব’লে তাদের সঙ্গে ছুটলেন । সোনালি কুঁকড়োকে বললে, আর কেন ? চলে। এইবার ' ব’লে কুঁকড়োকে নিয়ে বনের দিকে আস্তে আস্তে চলে গেল। জিম্ম৷ ফ্যাল ফ্যাল করে সেইদিকে খানিক চেয়ে থেকে আস্তে আস্তে গোলাবাড়িতে ফিরে গেল মাথা নাড়তে নাড়তে । চিনি-দিদি ফিরে দেখলেন সবাই চলে গেছে। তিনি তবু যেন সবাইকে খাতির করে বেড়াতে লাগলেন আর কেবলই বলতে লাগলেন, ‘আসছে সোমবারে আসবে তো ? নমস্কার। মনে থাকে যেন আসছে সোমবার।’ খালি উঠোনময় চিনি-দিদি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এইভাবে, এমন সময় কাক ফুকরোলে, ‘কাছিম মিয়া, কাছিম মিয়া । চিনি-দিদি তার ছেলেকে বলছিলেন, আঃ, আজ মজলিস কেমন জমেছিল দেখিছিস্ ? গুটি-গুটি কাছিম এসে কুলতলায় বসলেন । ԵՀ