পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি-ছাড়া হয়ে আলো উঠবে, সেদিন আমি তো আর কুঁকড়ো নেই, আমি যে আলোর আলোয় গিয়ে মিশেছি।’ সোনালির চোখে জল ভরে উঠলে সে কেঁদে বললে, ‘একটি দিন আমার কথা রাখে৷ ” কুঁকড়ে ঘাড় নাড়লেন, ‘না, হতে পারে না ।" সোনালি বললে, "ভুলেও কি একদিন আমার কথা রাখতে নেই গা ।” * কুঁকড়ে বললেন, "ভুল হবার যোটি নেই। অমনি অন্ধকার বুকে চেপে বলে, ডাক আলো-কে । সোনালি বলে উঠল, ‘অন্ধকার ওঁর বুকে চেপে ধরে ? সব বাজে কথা । বলো-না বাপু গান গাও —সবাই তোমার তারিফ করবে বলে । গানের তো ঐ ছিরি, এর জন্তে মিছে কথা কেন বাপু । তোমার গান শুনে তো বনের সবাই মোহিত হল। এখানকার বাবুইপাখি, সেও তোমার চেয়ে গায় ভালো । কুঁকড়ে বললেন, ‘হতে পারে বাবুই গায় চমৎকার, কিন্তু সেইজন্যে অভিমানে আমি গাওয়া বন্ধ করব তেমন কুঁকড়ো আমায় ভাবলে নাকি ? সোনালি রেগেই বলে চলল, যেখানে নিচের বনে রোদের বেলা বসন্ত বাউরির গানটি মিনতি জানায়, আর উপরের বনে সা-বুলবুল গানের ফোয়ারা খুলে দেয়, সেই বনের মধে কুঁকড়োর ডাক কেউ শুনতে চাইবে, এটা পাগল ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করতে পারে না ? কুঁকড়ে কোনো কথা না কয়ে তফাতে সরে দাড়ালেন। সোনালি তবু বললে, “শুনেছ কোনোদিন নিশুত রাতের স্বপনপাখির গান ? ‘শুনি নি ’ বলে কুঁকড়ে অশোকের ডালে উঠে বসলেন। সোনালি নিজে নিজেই বলে যেতে লাগল ‘স্বপনপাখির গান, সে এমন আশ্চর্য ব্যাপার যে প্রথমবার শুনতে শুনতে, ঠাৎ সোনালির কী একটা বুদ্ধি মাথায় জোগাল ; সে চুপ হয়ে ভাবতে লাগল। কুঁকড়ে শুধলেন, কী বলছিলে ? সোনালি চেচিয়ে বললে, సె: