পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুকের পাট চাই। ডাকাত বলে ডাকাত— মুঞ্জ ডাকাত ! নামে যার দেশমুদ্ধ থরহরি কম্প, তাকে ধরতে কিনা ছোটো কুমার ! হাতি মারতে পতঙ্গ ’ ওর মধ্যে কোনো এক মন্ত্রীপুত্র বলে উঠল, 'ন হে না, রাজবুদ্ধির মধ্যে প্রবেশ করা কি তোমাদের কর্ম! কণ্টক দিয়ে কণ্টক উদ্ধার, বুঝলে কিনা ? সুজনসিংহ হেসে বললেন, ‘না হে না, তোমরা জানে না, হাম্বিরের গায়ে বেশ শক্তি আছে। তবে কী জানে, ছেলেমানুষ, এখনো হাড় পাকেনি। আমি এবার লড়াই থেকে এসেই তাকে রীতিমতে কুস্তি শেখাবার বন্দোবস্ত করছি, দেখো না ! এদিকে সকালে উঠে হাম্বির একখানা পুরোনো তলোয়ার আব একখানা ছোরা শান-পাথরে ঘষে-ঘষে সাফ করছিলেন। ছোরাখানা পিতা অরিসিংহের, আর তলোয়ারখানা উজলাগ্রামের দাদামশায় হাম্বিরকে দিয়ে গিয়েছিলেন। আজ কতকাল পরে শান পেয়ে অস্তর দুখান বর্ষার জল পেয়ে নদীর স্রোতের মতো ক্রমে খরধার হয়ে উঠল। হাম্বির বসে-বসে অস্তরে শান দিচ্ছেন, এমন সময় লছমীরানী সেখানে এসে বললেন, ‘এখানে বসে কী করছিস ? হাম্বির বললেন, ‘জানো না মা ? ডাকাত ধরতে যেতে হবে, তাই অস্তর দুখানায় শান দিচ্ছি।’ লছমীরানী বললেন, ‘হা কপাল! তুমি এখনো অস্তর শান দিচ্ছ, আর ওদিকে যে সুজন সিং সৈন্যসামন্ত নিয়ে ডাকাত ধরতে গেল। তোর চেয়ে তো সে কাজের লোক দেখি, লোকে কেবল তার মিছে তুর্নাম রটায় বুঝলেম । হাম্বির যেন মায়ের কথায় একটু আশ্চর্য হয়ে বললেন, তাই তো মা, দাদা তো আমায় ডেকে নিয়ে গেলেন না ? রাজত্ত্বিটা দেখছি আমার কপালে নেই । যাই হোক, আমি ছাড়চিনে । এই কথা বলে হাম্বির দ্বিগুণ উৎসাহে তলোয়ার শান দিতে লাগলেন। রানীম। বললেন, “যা যা, বেলা হল— এখন কিছু খেয়ে আয়, আমি ততক্ষণ এ দুখানায় শান দিচ্ছি। হাম্বির উঠে গেলেন, రిJరి