পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লছমীরানী বসে-বসে অস্তরে শান দিতে লাগলেন। রাজপুতের মেয়ে বাটনা বাট কুটনো কোটার চেয়ে অস্তরে শান দেওয়া ভালে। বোঝেন। তার হাতে পড়ে অস্তর দুখানা কিছুক্ষণের মধ্যেই চকচকে ঝকঝকে হয়ে উঠল। হাম্বির ফিরে এলে রানীম। র্তার হাতে ছোরাখানা দিয়ে বললেন, “দেখ দেখি, এটায় যেন ফাট ধরেছে বোধ হয় । আঁকা-বাক যেন কিসের দাগ দেখছি ! এখানায় তো কোনো কাজই হবে না।’ হাম্বির বললেন, ‘বলে। কী মা, বাবার হাতের ছোরা কাজে লাগবে না কী ? দী ও দেখি একবার ভালো করে দেখি । হাম্বির ছোরাখানা নিয়ে এদিক-ওদিক ফিরিয়ে দেখলেন, কিছু বোঝা গেল ন। মনে হল যেন ছোরার ফলকটার একদিক থেকে আর একদিক জুড়ে একটা আঁক-বঁকা ফাট । ফাট কি রক্তের দাগ চেনা যায় না ! হাম্বির বললেন, তাই তে, এটা তো কিছু বোঝা গেল না ; ভালে মনে দেখতে হবে । মা তুমি অস্তর খানা আমাব ঘরে রেখে দি ও । তামি একপার মহারাজার সঙ্গে দেখা করে আসি, একটা ভালো ঘোড়া দেখে নিতে হবে ? তাজয়সিংহ তাজ তার সভায় যাননি । শরীব অসুস্থ, নিজের মঙ্গলে বিশ্রাম করছিলেন, হাম্বিরকে আসতে দেখে বললেন, সে কী, তুমি যা গুনি ? স্থজন তো অনেকক্ষণ রওনা হয়েছেন । হাম্বির বললেন, ‘তাঙ্কে, একটি ঘোড়া বেছে নিতে কিছু বিলম্ব হবে, আমি আজ সন্ধ্যাকালেক্ট রওনা হব ।’ অজয়সিংহ বললেন, লোকজন তো সব বড়ো কুমারের সঙ্গে চলে গেছে, তুমি এক পথ চিনবে কেমন করে ? হাম্বির বললেন, ‘আন্দ্রে, একজন শিকারীর সঙ্গে বন্দোবস্ত করেছি, সে-ই আমাকে ডাকাতের আড্ডা দেখিয়ে দেবে। আমি মনে করেছিলুম, লোকজন নিয়েষ্ট যব, কিন্তু পরে ভেবে দেখলুম, মৃঞ্জ ভীল যে রকম দুর্দান্ত, তার সঙ্গে লোকজন নিয়ে পেরে ওঠা তাসম্ভব । কৌশলে কার্য সিদ্ধ কর। চাক্ট ’ ףס צ