পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাম্বিরের রাজ্যলাভ হাম্বির এখন শুধু হাম্বির নয়— ভগবান একলিঙ্গের দেওয়ান মহারান হাম্বির । নামটা শুনতে যতখানি, হাম্বিরের রাজত্ব কিন্তু ততখানি ছিল না। থাকবার মধ্যে কৈলোরেব কেল্লা, আশে-পাশে খানকতক গ্রাম আর দুই হাজার মাত্র রাজপুত সেপাই ! মেবারের মহারানা এখন ঠিক যেন একজন তালুকদার। এদিকে দিল্লীর বাদশা মহম্মদ খিলজীর হয়ে মালদেব তখন চিতোরে বসে সমস্ত মেবার শাসন করছিলেন। চিতোর থেকে প্রায় বিশ ক্রোশ দূরে কৈলোবের কেল্লা । কোনো কোনো দিন আকাশ পরিষ্কার থাকলে কৈলোর থেকে পাহাড়ের উপর চিতোবের কেল্লা ঠিক যেন একখানি জাহাজের মতে। আ + 1শ-সমুদ্রে ভেসে রয়েছে দেখা যেত । হাম্বির লছমী মায়ের সঙ্গে কেল্লার ছাদে উঠে, লোক যেমন ঠাকুর দর্শন করে তেমনি— চিতোর দর্শন করতেন । সেই সময় সূর্যের আলোয় সকালবেলায় সোনার আকাশ-পটে বাজপ্রাসাদের পাথরের দেওয়াল, দেবমন্দিরের সোনার চুড়ে নিয়ে পাহাড়ের উপরে চিতোরের কেল্ল ধীরে ধীরে ফুটে উঠত। হাম্বির বলতেন, “ওই দেখো মা, আমার জাহাজ দেখা দিয়েছে ? রানীমা বলতেন, জাহাজ তো তৈরি আছে। তুই যদি ঘুম দিতে থাকিস তবে জাহাজ পেদখল হয় ’ হাম্বির বলতেন, ‘এ জাহাজ মারে কাব সাধ্য।’ হাম্বির যে ঘুম দিচ্ছিলেন না একথ। লছমীবানী অতি অল্প দিনেই জানতে পারলেন । সেদিন দেওয়ালির পুজো ! সন্ধ্যাবেলা হাম্বির এসে মাকে বললেন, ‘ম, দেওয়ালির আলে দেখবে তো ছাদে এসে ’ রানীমা হেসে বললেন, "আচ্ছা তুই এত বড়ো হলি তবু মায়ের সঙ্গে তামাশা করা রোগটা তোর এখনো গেল না ? এই মাঠের 38& অ, هند حسیس