পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মারল এই দেখবার জন্তে তারা এদিক-ওদিক দেখছেন এমন সময় যোধরাও ঘোড়া ছুটিয়ে এসে বললেন, ‘প্রভু, আমার অপরাধ যদি হয়ে থাকে তো ক্ষমা করবেন। বাপের সিংহাসন আমি কারু কাছে ভিক্ষা বলে চেয়ে নিতে পারলুম না, নিজের জোরে ফৌজ পাঠিয়ে দখল করেছি, লড়াই শেষ হয়ে গেছে। চণ্ডজীর হাতে আমার বাপ পশুর মতো মারা পড়েছে, তারই ধার তার দুই ছেলেকে যুদ্ধে বীরের মতো মেরে শোধ দিলেম, এতে যদি আমার দোষ হয়ে থাকে তো শাস্তি দিন ? চণ্ডের মুখে কোনো কথা সরল না। হরোয়া শংকল খানিক ঘাড় হেঁট করে রইলেন, তারপর আস্তে-আস্তে বললেন, ‘যোধরাও ভুল করেছ, চণ্ডের কোনো দোষ ছিল না, তুমি বালক বলে এবাব তোমায় শাস্তি দিলেম না, কিন্তু প্রতিজ্ঞা করো, আর কখনো মেবারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে না। আর এই মাটিতে যেখানে এই বীর কণ্ঠজী পড়ে রয়েছেন, এই পর্যন্ত মেবারের রাজ্যের সীমা ঠিক হল, এর পর থেকে তোমার রাজত্ব ।’ চণ্ড চোখের জলের মধ্যে দিয়ে দেখলেন যেখানে তার কণ্ঠজী প্রাণশূন্ত দেহে পড়ে রয়েছে সেখানে সকালের আলোতে সমস্ত মাঠ জুড়ে সোনার ফুলের মতো অঁাওলার কচি ফুল ফুটে উঠেছে। তিনি হরোয় শংকলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘এই অঁাওলার ফুলই যেন শান্তির ফুল হয়, যত দূর এই ফুল ফুটবে ততদূর যেন মেবারের রাজ্য এইটেই সবাই বলে। আমার কাজ শেষ হয়েছে, প্রভু আমাকে এখন আপনার সঙ্গী করে লুনী নদীর পারে তপোবনে আশ্রয় দিন ? রাজর্ষি বললেন, “তথাস্তু ’ ›ዓb”