পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোধ খুনই ঠিক বলে স্থির করে রায়মলকে আবার সিংহাসন দেবার ফন্দি করলে। দিল্লীতে তখন প্রথম পাঠান সুলতান বহলোল লোদী। তার সঙ্গে ‘ঘাতীরাও কুটুম্বিত করে, নিজের মেয়ের সঙ্গে সুলতানের বিয়ে দেবার ফন্দি করে, খুব শক্ত হয়ে চিতোরের সিংহাসনে বসে থাকার মতলব করছে, এমন সময় ইদর রাজ্য থেকে রায়মলকে রাজপুত সর্দারেরা খুজে বার করলেন। ‘ঘাতীরাও বড়ো-বড়ো সর্দারদের বড়ো-বড়ো জমিদারির লোভ দিয়েও নিজের দলে টানতে পারলে না ! যে নিজের বাপকে খুন করতে পারে, রাজপুতের মেয়েকে পাঠানের বেগম করে দিতে চায়, তার দলে কোন রাজপুত থাকতে পারে ? ঘাতীর ও কাজেই গতিক খারাপ দেখে একদিন রাতারাতি সুলতানের দরবারে গিয়ে মেয়ের বিয়ের সব পাকা করে চুপি-চুপি আবার চিতোরে এসে বসবার মতলবে ঘোড়া ছুটিয়ে এক আসছে, এমন সময় পথের মধ্যে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হল। এই স্ত। মেরে রায়মল চিতোর দখল করে বসলেন । সুলতান বহলোল চিতোরের রাজকুমারীকে বিয়ে করতে এসে দেখলেন বাহান্ন হাজার সওয়ার আগে, এগাবে। হাজার পাইক সঙ্গে, রায়-বাঘের মতে রায়মল তাকে ধরবার জনে পাহাড়ের উপর বসে আছেন। পাঠান সুলতান বিয়ে করতে এসেছিলেন বর সেজে, কিংখাবের লুঙি কোমরে জড়িয়ে, জরির লপেটা ফেলে চম্পট দিলেন যেখান থেকে এসেছিলেন সেই দিল্লীতে ! রায়মল, তার তিন ছেলে সঙ্গ, পৃথ্বীরাজ, জয়মল, আর একটি মাত্র ছোটো ভাই মুরজমল এই চারজনকে নিয়ে চিতোরে বসে রাজত্ব করতে থাকেন, সেই সময়ে একদিন— তখন রান হয়েছেন বুড়ো, ছেলেরা হয়েছে বড়ো, দেশে রয়েছে শান্তি, আর সুখে রয়েছে রাজাপ্রজা সবাই– তখন প্রচণ্ড গরমকালে দুপুর-বেলায় বাইরে আগুন হাওয়া, বুড়ে রানাজী ভীম তালাওয়ের মাঝখানে জলের উপরে শ্বেতপাথরের তাওখানায় আরাম করছেন। রাজকুমার তিনজন ছোটোখুড়ো সুরজমলের বাগান-বাড়িতে আড্ড rরছেন আর তাশ, দাবা, సె{