পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকুমারদের মগজে চড়েছে, ঠাণ্ডা হবে কে ? সবাই উঠে বললেন, ‘চলো খুড়ে, থাক এখন ঠ গু হওয়া ; চারণীর কাছে গুনিয়ে আজ ঠিক করব সিংহাসনটি কার পাওনা ’ বুদ্ধিমান সুরজমল দেখেন বিপদ –গেলে রাগেন দাদা, ন গেলে রাগেন দাদার তিন পুত্তর, তার মধ্যে একজন গুণ্ড আর-একজন বেজায় সাহসী ; কাজেই সুরজমল চললেন বলতে-বলতে, ‘শেষে দেখছি রাজত্বটা আমারই হবে, তোমরা তিন ভাই হয় দেশছাড়া হবে কালই দাদার হুকুমে, নয়তো ছুদিন পরে নিজেদেব মধ্যে কাটাকাটি করে মরলে ; বাকি থাকব আমি রাজ্যের ভোগ ভুগতে । পুর্থীরাজ বলে উঠলেন, “সেইজন্তে তোমাকে ও সঙ্গে নিচ্ছি ; তোমার ও কপালে কী আছে দেখা চাই তো ? মুরজমল নিজের আর তিন ভায়েব কপালে এক-একবার টোক মেরে বললেন, “গুনে দেখার প্রয়োজন নেই, আওয়াজেই বুঝছি সব ফোপর। ’ উদয়পল থেকে পাঁচ ক্রোশ হবে নতিব মু’ব। সেইখানে এক পাহাড় তাকে বলে ব্যাঘ্রমেরু ; তবেই উপরে থাকেন চরণীমন্দিরের সিদ্ধিকরী যোগিনী । পাহাড়েব অন্ধকার গুহাব মধ্যে দেবীর দেউল। রাজপুত্রের দুরন্ত গরমে ঘোড় ছুটিয়ে যখন মন্দিলে উপস্থিত হলেন তখন সন্ধা।পুজার যে গাড় কবতে সিদ্ধিকরী বাইরে গেছেন ; মন্দির খালি ; তারই মধ্যে অন্ধকাবে কালে। পাগরের চারণীদে পীর ফটিকের তিনটে চোখ মাত্র দেখা যাচ্ছে, হাব সামনে মস্ত একটা পাথবের চা তালে সন্ধ্যাবেল:র আলে। পড়েছে –বক্ত যেন ঢেলে দিয়েছে । সিদ্ধিকবীকে মন্দিরে না দেখে সুবক্তমল বলে উঠলেন, কেমন, বলেছিলাম তো কপাল ফোপর ! মন্দির খালি, এখন দেবীকে একটি করে প্রণাম দিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে চলো।’ পৃথ্বীরাজ ঘাড় নেড়ে বললেন, তা হবে না, এইখানে বসতে হবে, আরতির পর হাত গুনিয়ে তবে ছুটি P একদিকে একটা বাঘের ছাল পাতা ছি- আর একদিকে সিদ্ধিকরীর খাটিয়া, তার উপরে ছেড়া কাথা । পৃথ্বীরাজ 25°