পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘এসব গামলা আর কুপো কেন কিচ কিন্দে ? ‘জানো না ? এখানে তোমার পিসির ঘি-তেল মজুদ থাকে। দেখ না”— বলেই ছোটাে একটি ঘিয়ের মর্টুকি কিচ কিন্দে আমার হাতে তুলে দিয়েছে। ও কিচ কিন্দে, এ ভাড়টার মুখ কোন দিকে ? ঘি বার করি কেমন করে ? ‘দাও, দেখিয়ে দিই ’ বলে মটুকিটা আমার হাত থেকে নিয়ে কিচ কিন্দে দুহাতে নিংড়োতেই দেখি গল-গল করে এক সের ঘি বেরিয়ে পড়ল । "এ তো বেশ মজা ’ বলেই আমি পালকি থেকে নেমে সেই জালা আর গামলাগুলো টিপতে লাগলুম আব অমনি পিচকিরি দিয়ে ফোয়ারার মতো কোনোট থেকে তেল কোনোটা থেকে ঘি বেরোতে লাগল। দেখতে দেখতে চারদিক তেল আর ঘিয়ে ভেসে গেল ! তখন কিচ কিন্দে বলছে ‘বাবু, আর খেলা নয়। এত তেল-ঘি ঢেলে ফেলেছ দেখলে পিসি রাগ কববেন । চলো, চুপি-চুপি পালাই ? পালকি করে আবার চলেছি । কিন্তু মনে ভয় হচ্ছে – পিসির এত তেল-ঘি ঢেলে নষ্ট করলুম, পিসি যদি টেব পান তো রক্ষে রাখবেন না । ও কিচ কিন্দে, পিসিকে বোলে৷ মা যেন যে অত তেল-ঘি নষ্ট করেছি ? একটুও নষ্ট হবে না বাবু, পিসিব তোমার তেমন জালা, তেমন গামলা নয়! কুপোগুলো সব তেল-ঘি আবার শুষে নিয়ে যেমন ছিল তেমনি ফুলে উঠছে! চলে এখন পিসির বাড়ির তেতলায় আমরা নেমে যাই । সেখানে ঘণ্টাকর্ণ রক্তশোষা মাথায় ছাতা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন!' বলেই কিচ কিন্দে পালকি নিয়ে ধাপে-ধাপে সমুদুরের নিচে নেমে চলল। সেখান" এমন অন্ধকার যে কিছু দেখা যায় না । (م و جا