পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ও কিচ কিন্দে এরা এগিয়ে আসে যে ! ‘আসতে বলছ তো আসবে না । যাঃ-যাঃ বললে এগিয়ে আসবে ন। তো কি পিছিয়ে যাবে ? এখানে সব উল্টো, মনে নেই ? বলো— আয়-আয় ।” যেমন ‘আয়-আয় করে ডাক। আর অমনি সব কাকড়া দেখি পালিয়েছে। আমি যত ডাকি আয় তত তার দূরে পালায়। আবার যেমন একবার বলেছি ‘যাঃ-যাঃ অমনি সব কাকড়া কট্‌কটু করে আমার দিকে ছুটে এসেছে ! আচ্ছা কিচ কিন্দে, পিসি অত কষ্ট করে কেঁচোর টোপ ফেলে কাকড় ধরেন কেন ? জলের ধারে বসে যাঃ-যাঃ বললেই তো তারা আপনি পিসির হাতে উঠে আসত ? ‘আহা, পিসির তোমার মায়ার শরীর, কাউকে কি তিনি যাঃ বলতে পারেন । পিসির মুখে যাঃ কথাটি কখনো শুনিনি। যদি বল্লুম– পিসি বাড়ি যাই, অমনি পিসি বলবেন— আয় বাছা ! কোনোদিন বলবেন না— যা বাছা ! তোমাদের মুখে যেমন যাঃ-যাঃ দূর-দূর লেগেই আছে, পিসি তো আর তেমন নয়, পিসি সবাইকে বলেন– এসো বাছা, বসো বাছা ! সাধে কি আমরা পিসির চাকর হয়ে আছি ? ওই দেখ তোমার পিসির ছিপে একটা কলকজা-দাড়াবাধা ধরা পড়েছে। ওই আর একটা ! উঃ, তোমার জন্যে পিসি খুব কাকড়া আর গলদ চিংড়ি ধরছেন দেখছি, কাল খাওয়া খুব হবে বাবু! দেখি পিসির ছিপে দুটো প্রকাণ্ড কাকড়া আর গলদা-চিংড়ি ধরা পড়েছে । কাকড়াব এক-একটা দাড়া আমার হাতের মতো লম্বা ; আর চিংড়ি দুটো যেন এক-একটা তেলেঙ্গি সেপাই—ঢাল খাড়া নিয়ে তিড়িং-তিড়িং লাফাচ্ছে। আমাদের চোখ, মুখের সঙ্গে চ্যাপ্টানো, এদের চোখগুলো যেন দূরবীনের চোঙার মতো মুখ থেকে ঠেলে বেরিয়েছে আর কট্‌মটু করে তাকিয়ে আছে! দেখলে ভয়ে গা শিউরে ওঠে। কাকড়া আর গলদা-চিংড়ি দেখে, পিসির রাধা কচি سطواج