পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনামা, কেউ বলে অনোমা, কেউ বা ডাকে অনমা । সিদ্ধার্থ নদীর যে পার থেকে নামলেন সে পারে ভাঙন জমি— সেখানে ঘাট নেই, কেবল পাথর আর র্কাট। আর যে পারে সিদ্ধার্থ উঠলেন সে পারে ঘাটের পথ ঢালু হয়ে একেবারে জলের ধারে নেমে এসেছে ; গাছে-গাছে ছায়া-করা পথ। সবুজ ঘাস, বনের ফুল দিয়ে সাজানো বনপথ। এই দুই পারের মাঝে নমা নদীর জল— বালি ধুয়ে ঝিরঝির করে বহে চলেছে। একটা জেলে ছোটো একখানি জাল নিয়ে মাছ ধরছে। সিদ্ধার্থ নিজের গায়ের সোনার চাদর সেই জেলেকে দিয়ে তার ছেড়া কাথাথানি নিজে পরে চলেছেন । নদী— সে ঘুরে-ঘুরে চলেছে আম-কাঠালের বনের ধার দিয়ে, ছোটো ছোটো পাহাড়ের গা ঘেষে– কখনো পুব মুখে, কখনো দক্ষিণ মুখে । সিদ্ধার্থ চলেছেন সেই নদীর ধারে-ধারে ছাওয়ায় ছাওয়ায়, মনের আনন্দে। এমন সে সবুজ ছাওয়া, এমন সে জলের বাতাস যে মনে হয় এইখানেই থাকি । ফলে ভরা, পাতায় ঢাকা জামগাছ, একেবারে নদীব উপর বুকে পড়েছে ; তারি তলায় ঋষিদের আশ্রম । সেখানে সাত দিন, সাত রাত্রি কাটিয়ে সিদ্ধার্থ বৈশালী নগরে এলেন । সেখানে জটাধারী মহাপণ্ডিত আরাড় কালাম, নগরের বাইরে তিনশো চেলা নিয়ে, আস্তান পেতে বসেছেন । সিদ্ধার্থ তার কাছে শাস্ত্র পড়লেন, ধ্যান, আসন, যোগ-যাগ, মন্তরতন্তর শিখলেন কিন্তু দুঃখকে কিসে জয় করা যায় তু র সন্ধান পেলেন না । তিনি আবার চললেন । চারি দিকে বিন্ধ্যাচল পাহাড় ; তার মাঝে রাজাগহ নগর । মগধের রাজা বিম্বিসার সেখানে রাজত্ব করেন । সিদ্ধার্থ সেই নগরের ধারে রত্নগিরি পাহাড়ের একটি গুহায় আশ্রয় নিলেন । তখন ভোর হয়ে আসছে, সিদ্ধার্থ পাহাড় থেকে নেমে নগরের পথে ভিক্ষা দাও বলে এসে দাড়ালেন ; ঘুমন্ত নগর তখন সবে জেগেছে, চোখ মেলেই দেখছে-- নবীন সন্ন্যাসী ! এত রূপ, এমন করুণামাখা হাসিমুখ, এমন আনন্দ দিয়ে গড়া সোনার \Sధిసి