পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক হয়ে অবতার হয়েছেন উদরক শাস্ত্রী। সিদ্ধার্থ কিছুদিনেই সকল শাস্ত্রে অদ্বিতীয় পণ্ডিত হয়ে উঠলেন, কোনো ধর্ম কোনো শাস্ত্র জানতে আর বাকি রইল না। শেষে একদিন, তিনি গুরুকে প্রশ্ন করলেন— ‘দুঃখ যায় কিসে ? উদরক সিদ্ধার্থকে বললেন— ‘এসো, তুমি আমি দুজনে একটা বড়োগোছের চৌপাটি খুলে চারি দিকে সংবাদ পাঠাই, দেশবিদেশ থেকে ছাত্র এসে জুটুক, বেশ সুখে-স্বচ্ছন্দে দিন কাটবে। এই পেটষ্ট হচ্ছে হুঃখের মূল, একে শান্ত রাখে, দেখবে দুঃখ তোমার ত্রিসীমানায় আসবে না।’ উদরক শাস্ত্রীকে দূর থেকে নমস্কার করে সিদ্ধার্থ চৌপাটি থেকে বিদায় হলেন । দেখলেন, গ্রামের পথ দিয়ে উদরকের সাতশো চেলা ভারে-ভারে মোণ্ড নিয়ে আসছে— গুরুর পেটটি শান্ত রাখতে । সিদ্ধার্থ গ্রামের পথ ছেড়ে, বনের ভিতর দিয়ে চললেন । এই বনের ভিতর কেীগুন্যের সঙ্গে সিদ্ধার্থের দেখা । ইনিই একদিন শুদ্ধোদন রাজার সভায় গুণে বলেছিলেন, সিদ্ধার্থ নিশ্চয়ই সংসার ছেড়ে বুদ্ধ হবেন । কৌণ্ডিন্তের সঙ্গে আর চারজন ব্রাহ্মণের ছেলে ছিল । তারা সবাই সিদ্ধার্থের শিষ্য হয়ে তার সেবা করবার জন্য সন্ন্যাসী হয়ে কপিলবাস্তু থেকে চলে এসেছেন । অঞ্জনা নদীর তীরে উরাইল বন । সেইখানেই সিদ্ধার্থ তপস্যায় বসলেন– হুঃখের শেষ কোথায় তাই জানতে । শাহে, যেমন লিখেছে, গুরুরা যেমন বলেছেন তেমনি করে বছরের পর বছর ধরে সিদ্ধার্থ তপস্যা করছেন । কঠোর তপস্তা— ঘোরতর তপস্যা— শীতে গ্রীষ্মে বর্ষায় বাদলে অনশনে একাসনে এমন তপস্যা কেউ কখনো করেনি! কঠোর তপস্যায় তার শরীর শুকিয়ে কাঠের মতো হয়ে গেল, গায়ে আর এক বিন্দু রক্ত রইল না— দেখে আর বোঝা যায় না তিনি বেঁচে আছেন किन ! সিদ্ধার্থের কত শক্তি ছিল, কত রূপ ছিল, কত আনন্দ কত তেজ גנס\