পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বজাত জ্বাল-দেওয়া টাটকা দুধটুকু একটি নতুন ভাড়ে ঢেলে পুন্নার হাতে দিয়ে বললেন– “তুই এইটে নিয়ে চল, আমি পুজোর থালা আর মনুয়াকে সঙ্গে নিয়ে যাই । সুজাতার ছেলের নাম মনুয়া । ভোরের অন্ধকারে গায়ের পথ একটু-একটু দেখা যাচ্ছে । পুন্না চলেছে আগে-আগে দুধের ভাড় নিয়ে ঝুমুর-ঝুমুর মল বাজিয়ে, সুজাতা চলেছেন পিছনে-পিছনে ছেলে-কোলে পুজোর থালাটি ডান হাতে নিয়ে । পুন্নার সঙ্গে একলা যেতে সুজাতার একটু-একটু ভয় করছিল। সোয়াস্তিদের বাড়ির কাছে এসে সুজাতা বললেন— ‘ওরে সোয়াস্তিকে ডেকে নে না ? সোয়াস্তিকে আর ডাকতে হল ন, সে পুন্নার পায়ের শব্দ পেয়েই একটা লাঠি আর একটা আলো নিয়ে বেরিয়ে এল । তিনজনে মাঠ ভেঙে চলেছেন । তখনো আকাশে তারা দেখা যাচ্ছে— রাত পোহাতে অনেক দেরি কিন্তু এর মধ্যে সকালের বাতাস পেয়ে গায়ের উপর থেকে সারা রাতের জমা ঘুটের ধোয়া শাদা একখানি চাদোয়ার মতো ক্রমে-ক্রমে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। উলু-বনের ভিতর দু-একটা তিতির, বকুলগাছে দু-একটা শালিক এরি মধ্যে একটু-একটু ডাকতে লেগেছে। একটা ফটিংপাখি শিস দিতে-দিতে মাঠের ওপারে চলে গেল। ছাতারেগুলো কিচমিচ ঝুপ-ঝুপ করে কাঠালগাছের তলায় নেমে পড়ল। আলো নিবিয়ে সুজাতা আর পুন্নাকে নিয়ে সোয়াস্তি নদীর ধারে এসে দাড়াল। তখন দূরের গাছপালা একটু-একটু স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ; নদীর পারে দাড়িয়ে সুজাত দেখছেন– বটগাছের নিচে যিনি বসে রয়েছেন— তার গেরুয়া কাপড়ের আভা বনের মাথার আধখানা আকাশ আলো করে দিয়েছে সকালের রঙে । মুজাতা, পুল্লা মনের মতো করে পুজো দিয়ে সিদ্ধার্থের আশীৰ্বাদ নিয়ে চলে গেছে। সোয়াস্তি র্তাকে কিছু দিতে পারেনি ; তাই সে সারাদিন নদীর ধারে একলা বসে অনেক যত্নে কুশিঘাসের একটি "לגס\