পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশকে এক-হাতে মুঠিয়ে ধরে, পাতালকে এক পায়ে চে ে' রেখে, মার আজ নিজমূর্তিতে সিদ্ধার্থের সামনে এসে দাড়িয়েছে। তার গায়ে উড়ছে রাঙা চাদর– যেন মামুযের রক্তে ছোপানো ! তার কোমরে ঝুলছে বিদ্যুতের তলোয়ার, মাথার মুকুটে স্থলছে ‘মার’-এর প্রকাও একটা রক্ত-মণির ফুল, তার কানে তুলছে মোহন কুণ্ডল, তার বুকের উপরে জ্বলছে অনলমালা— আগুনের সুতোয় अँीथं । বুক ফুলিয়ে ‘মার সিদ্ধার্থকে বলছে– “বৃথাই তোমার বুদ্ধ হতে তপস্যা ! উত্তিষ্ঠ— ওঠে। কামেশ্বরোহস্মি— আমি মার’ । ত্রিভুবনে আমাকে জয় করে এমন কেউ নেই! উত্তিষ্ঠ উত্তিষ্ঠ মহাবিষয়স্থং বচং কুরুস্ব— ওঠে চলে যাও, আমাকে জয় করতে চেষ্টা কোরো না। আমার আজ্ঞাবাহী হয়ে থাকো, ইন্দ্রের ঐশ্বর্য তোমায় দিচ্ছি, পৃথিবীর রাজা হয়ে সুখভোগ করে ; তপস্যায় শরীর ক্ষয় করে কী লাভ ? আমাকে জয় করে বুদ্ধ হওয়া কারো সাধ্যে নেই।” সিদ্ধার্থ ‘মার’কে বললেন– “হে মার’ ! আমি জন্ম-জন্ম ধরে বুদ্ধ হতে চেষ্টা করছি— তপস্যা করছি, এবার বুদ্ধ হব তবে এ আসন ছেড়ে উঠব, এ শরীর থাক বা যাক এ প্রতিজ্ঞা— ইহাসনে শুন্যতু মে শরীরং ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পতুর্লভাং নৈবাসনাৎ কায়মতশ্চলিষ্যতে।” তিনবার ‘মার বললে— “উত্তিষ্ঠ— ওঠে, চলে যাও, তপস্যা রাখো!” তিনবারই সিদ্ধার্থ বললেন, “ন ! না! না! নৈবাসনাৎ কায়মতশ্চলিষ্যতে ।” রাগে দুই চক্ষু রক্তবর্ণ করে বিকট হুঙ্কার দিয়ে তখন আকাশ ধরে টান দিলে মার’ তার নখের আঁচড়ে আমন-যে চাদ-তারায়সাজানো নীল আকাশ সেও ছিড়ে পড়ল শত-টুকরো হয়ে একখানি নীলাম্বরী শাড়ির মতো । মাথার উপরে আর চাদ নেই, so e