পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুত্রপাত সামান্ত চামার যে মানুষের মধ্যেই গণা হয় না ; তাহার মনে মানুষের স্যায্য অধিকার সম্বন্ধে স্বাধীন ধারণা এবং সেই অধিকার বজায় রাখিবার জন্য এতটুকু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে থাকিতে পারে এটা স্বপ্নের আগোচর। সুতরাং কাশ্মীররাজ কুলচুড়ামণি চন্দ্রাপীড়ের আদেশে রাজমন্ত্রী, ত্রিভুবনেশ্বরের মন্দিব নির্মাণের জন্য, রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমাংশে ঐ চামাবেব ভিট ও তৎসন্নিহিত ক্রোশেক পরিমাণ জমি মনোনীত করিয়া দিতে কিছুমাত্র ইতস্তত করিলেন না। রাজমন্ত্রীর আজ্ঞায় স্থপতিগণ সিংহদ্বব হইতে সূত্রপাত করিয়া পুর্বপশ্চিম মুখে ক্রমশ অগ্রসর হইতেছে ; সূত্রেব মুখে যাহাদেৰ বাড়ি ঘব পড়িতেছে তাহারা যথা বা অযথা মূল্যে নিজেব নিজের ভিটা রাজসরকারে ছাড়িয়া দিয়া অন্যত্র উঠিয়া যাইতেছে ; এবং সেই সকল বহু মুখদুঃখ স্নেহমমতাব আশ্রয় বহুকালেব প্রাচীন ভিটা পাষাণভারে চুণীকৃত করিয়া দিনে দিনে প্রকাগু দেবায়তন— বিচিত্র বিমান কুম্ভ, কলস, চূড়া ইত্যাদি লইয়। সতেজে গজাইয়া উঠিতেছে। চত্তরের চারি দ্বার এবং চারিদিকে পাশ্ব-দেবতাগণেব মন্দিরাদি শেষ করিয়া স্থপতিগণ, চত্তরের উত্তরাংশে ত্রিভুবনেশ্ববের বড়ো দেউলের স্থান নির্দেশ করিয়া, চর্মকারের জমিব উপবে সূত্রপাত করিয়া গেল । যখন রাজমন্ত্রীর চিহ্নিত ভূমিব ত্রিসীমানার তাবৎ লোকই ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যাচিত বা অযাচিত নিজের নিজের ভিটা ও কারকারবার উঠাইয়া লইয়া দেবায়তন হইতে যতটা সম্ভব নিজেদের দূরে লইতে বাধ্য হইতেছিল, তখন কাহারো কথায় কর্ণপাত না করিয়া এই চর্মকার নিয়মিতভাবে নিজের দাওয়ায় বসিয়া পাছক, ঘোড়ার সাঞ্জ ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়া চলিয়াছিল। এমনকি, অধিকারী যেদিন তাহার কুটির ঘেরাও করিয়া সূত্রপাত vළු8R