পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার বস্তুটুকু পাবার তা তারা সকলেই পেয়েছিলেন। ফুল যখন ফুটেছে তখন হাম্বা ও মক্‌মক্‌ যে পাখিরই রব সে বিষয়ে তারা একমত হয়ে ওই দুটো জীবকেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে চললেন । তখন প্রায় সন্ধ্যা । উকিল সন্ধ্যাকালের রবগুলোকে পাখির রব বলে ধরা যায় কি না এবং একটা পাখি ফুটো জীব হয় কী বলে— এ-বিষয়েও একটু আপত্তি করায় অধিকন্তু ন দোষায় এবং রাতি পোহানোট যে প্রাচীন কবিদের মতে দিবানিদ্রার পরেই সায়ং-সন্ধ্যাটাকেই বলা হয় এটি বুধ-সভার কবি ও লেখকবৃন্দ সকলে মিলে সমস্ত পথটা তর্ক করে বোঝাতে বোঝাতে চললেন। এবং হুজুরের সংগীতাচার্য এই দুই জীবের রবে কোথায় ওড়ব, কোথায় বা খাড়ব ষড়জ গান্ধার মধ্যম ইত্যাদির বিচার করে এদের গান হনুমানের মতে সিদ্ধ ও শুদ্ধ বলেই স্থির করে নিলেন— যদিও কোনো-কোনো ওস্তাদ নন্দিকেশ্বরকে একেবারে ছেটে দিতে নারাজ ছিলেন। এক পাখির স্থানে দুই নিয়ে যখন সদলে কর্মচারী হুজুরের মজলিসে দেখা দিলেন তখন চারিদিকে ধন্য ধন্য পড়ে গেল এবং দুই পাখির সংগীতের শ্রোতা এত জমে গেল যে হুজুরের উঠোনে সকলের স্থান-সন্ধুলান দুর্ঘট হয়ে পড়ল। কোনোমতে সকলকে তুষ্ট করে কর্মচারী হুজুরে হাজির হয়েছেন। হুজুরের তাকিয়ার বামপাশ্বে বাতি ও পুষ্পমাল্য ও তাম্বুলাদি, আর দক্ষিণে অধ্যাপক শাস্ত্রী ও তত্ত্ববাগীশের দল। মজলিস দেশের গণ্যমান্য সংগীতসভা-সংঘ ও সমিতির সদস্তে ভরা। এ ছাড়া খবরের কাগজওয়ালারও শুভাগমন হয়েছিল। অধ্যাপক প্রথমে স্বরচিত স্বস্তি-বাচন পত্রখানি পাঠ করলে পর কর্মচারী নম্বরএক বিহঙ্গকে হুজুরে দস্তুর-মতো পেশ করলেন ; হুজুরও তাকে যথাযথ আপ্যায়িত করে গানের জন্য ধরে পড়লেন । নম্বর-এক এভক্ষণ মাথা হেঁট করে ভালোমানুষটির মতো অপেক্ষা করছিলেন। হুজুৰ্বের অভয় পেয়ে বরাবর অধ্যাপকদের নিকটে গিয়েই উপবেশন করলেন এবং তাদের হাতের কুশ-মুষ্টির দিকে মুখ বাড়িয়ে একটিমাত্র হাম্বারব করেই ক্ষান্ত হলেন। এখানে \ల\\ు