পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোরমান, বিলম নদীর মোহানার কাছাকাছি জল-করের একটা মামলা চলেছে— আমি রাজ-সরকার থেকে সেটা নিষ্পত্তির হুকুম নিয়ে বোটের উপরে কাছারি বসিয়ে কাজও করছি, আরামও করছি । এমন সময় কাশী থেকে অনেক দিনের পরে বাল্যবন্ধুর পত্র পেলেম । বন্ধু লিখেছে— সে উকিল হয়েছে এবং কাশী নরেশের দপ্তরে একটা মোট মাইনেও তার হয়ে যায়, যদি এই সময় একটি প্রাচীন কাশ্মীরের তোরমানি টাকা কাশী-নরেশকে উপহার দেবার জন্য তাকে আমি পাঠাতে পারি। আমার পাশে পণ্ডিতজী বসেছিলেন ; কাশ্মীরের প্রাচীন ইতিহাসে তিনি একেবারে পাকা । আমি র্তাকে তোরমানির কথা শুধোলেম, তিনি পাকা দাড়ি চুমড়ে বললেন– কাল খবর পাবেন । সে-রাত্রের মতো বোট কিনারায় লাগালেম ; পণ্ডিতজী বিদায় হলেন । জলে-স্থলে ধানি-রঙেএব আভাটি দিয়ে সন্ধ্যা হচ্ছে, জলেব কিনারায়-কিনারায় সবুজ ছায়ার শিহরণটি জানিয়ে দিচ্ছে, ওপারেব বাগিচায় রাতের হাওয়া এসে পৌছবার খবব । দিনের কাজ শেষ করে বসেছি, শাদা জামাজোড়াব উপরে লাল কম্বলটি মুড়ি দিয়ে ; পণ্ডিতজী হাজির। আমি আমার কাশ্মীবে চাকরটাকে পণ্ডিতেব জন্য কিছু ফল আনতে হুকুম করে শুধোলেম— তোরমানি টাকাটার কিছু সন্ধান হল কি, পণ্ডিতজী ? তিনি ঘাড় নেড়ে বললেন— এদেশে তো পাওয়া তুষ্কর। কাশীতে পেলেও পেতে পারেন। কাশ্মীরের মুদ্রা একেবারে দেশ-ছাড়া হয়ে কাশীবাস করছে কেন ?— শুধোলে পণ্ডিতজী উত্তর করলেন, ইতিহাসটা বলি, শুনুন । কোমল-প্রকৃতি তুঞ্জিন ত্রিশ বৎসর কাশ্মীর শাসন করে পরলোকে গমন করলে পর, তার দুই পুত্র হিরণ্য আর তোর্মান রাজপদ এবং যুবরাজের পদ পূর্ণ করে বসলেন। রাজা হিরণ্য Yoዓ8