পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশের দিকে, বলে একযুরে – জয় জীব-জন্তু জঙ্গলম। চুলোয় যাক মানুষের প্রতাপ ? হাম্বর হাস্তুর করে তিনবার হাক দিয়ে বাঘ আসন গ্রহণ করলেন । - ঘোড়দৌড়ের মাঠ থেকে পেন্সন-পাওয়া পি জরাপোলের একটা বেতো ঘোড়া খোড়াতে খোড়াতে এসে বললে— ‘ভদ্র বনচরগণ, রাজনীতি-ক্ষেত্র আমার নয়, কেননা সবুজ ক্ষেতে আর মাঠে বাজির খেলা নিয়েই আমি সারা জীবনটা প্রায় কাটিয়েছি, অতএব আমি আমার এ জীবনে মানুষের সম্পর্কে এসে কী দুঃখ পেয়েছি, সেইটুকুষ্ট কেবল বলি। একদিন ছিল যখন তাজী ঘোড়া বলে মানুষ আমাকে সোনার গামলাতে রাজার হালে দানাপানি দিয়েছে, তারপর একদিন এল যখন কেবলই অনাদর তার চাবুক আর হাড়ভাঙা খাটনি । ইন্দ্রের উচ্চৈঃশ্রবার ব শধর আমি, আমি ব শিরায় শিরায় রক্তের বদলে সোমরস চলেছে— সবুজ ঘাসেব, সবুজ পাত্রের কাচা তার টাটক রস । কিন্তু হায়, তবুও আমি আমার মানুষ-মনিৰকে ঘোড়দৌড়ের বাজি খেলায় জয়াচুরিতে জিতিয়ে দিতে অপারগ হলেম ! মনিল হতাশ হয়ে তামাকে গোলামের মতো বাজারে নিয়ে বিক্রি করে এল! কিন্তু তখনো ছৰ্দশাল চরম হয়নি, আমি বাজার ডাকগাডি টানবার ভার পেলুম । আর যাই হোক সুখ অল মান-সম্ভমের হানি তখনো বড়ে- একটা হয়নি, কিন্তু যেদিন থেকে মানুষ কলেব গাড়িতে ডাক এনে হাজির করলে, সেইদিন থেকে আমার অন্ন গেল, দুঃখের পল দুঃখ, দুর্দশার পর তৃর্দশায় আমি মরণাপন্ন হয়ে ঠিকে-গাড়ির আস্তাবল থেকে মুনিৰ্ঘ্যি-পালের ময়লা-গড়ি টানতে ট'নতে খোড়। হয়ে শেষে পিজিব পোলে গিয়ে পড়লেম । এখন মলেই বঁচি, কিন্তু তার পূর্বে আমি তোমাদের সকলকে অকুপোপ করছি, তোমৰ যেমন করে পার কলের গাড়ির বাস্ত বন্ধ করো সাল সভা থেকে একটা গোচরণের মাঠের ব্যবস্থা করে-- যালে কবে বেল আমর আর-একবার সবুজ পত্র সবুজ ঘাসের আস্বাদ পেয়ে, নবজীবন লাভ করে জেন্ত-সভাকে ধন্যবাদ দিতে দিতে পক্ষিরাজ ঘোড়ারূপে \రిఫ్ఫి