পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ দিকে এই খবর যেখানে ভোম্বলদাস শেয়াল পণ্ডিতের সঙ্গে বসে শাস্ত্র-আলাপ করছেন সেখানে এসে ফেউ জানিয়ে গেল । মামা তো হেসেই অস্থির ; শেয়ালকে বললেন– “ওহে পণ্ডিত, চাবিটা ভাগ্নেকে পাঠিয়ে দাও— আরো কিছু মজা হোক।” শেয়াল বললেন—“চাবিটা মহারাজ আমি গিয়ে দিয়ে আসি । নতুন রাজা খুশি হবেন— কী বলেন ?” ভোম্বলদাস চোখ-মটকে বললেন– “যাও, কিন্তু ভাগ্নে যখন উত্তম মধ্যম পুরস্কার হুকুম দেবেন, সে সময় ল্যাজ তুলে তাকে আশীৰ্বাদ ক’রে চটপট ফিরে আসতে ভুলে না।” শেয়াল যদি গেল বিদায় পেয়ে তো মশা এল ভোম্বলদাসেব কানের কাছে ভন ভন করতে। মশা মিহি সুরে কানের কাছে বললে –“মহারাজ !” ছুচের মতো কথা বিধল— ভোম্বলদাসের প্রাণে। তিনি মাথা নেড়ে নিশ্বাস ফেলে বললেন– “আর মহারাজ বলে কেন সম্বোধন কর ? আমার যথাসর্বস্ব গেছে পরেব হাতে ” মশা আর একবার এগিয়ে এসে বললে— “ধন দৌলত সকলই মজুদ । হুকুম করেন নির্ভয়ে বলতে তো বলি। ওই যে দেখেন উই त्रिलि-* ভোম্বলদাস ল্যাজ-আপ সে উঠে বললেন– “উই ঢিবি কি বল ? ওটা ন কৈলাস পর্বত।” ভোম্বলদাসের হুমকি শুনে মশা তো ভয়ে কম্পমান! তার মিহি সুর আরো মিহি হয়ে গেল। সে কেবলই পি পি কবে কী বলতে লাগল কিছুই বোঝা গেল না। ভোম্বলদাস তখন মশাকে অভয় দিয়ে বললেন– “বলে চলে৷ ” মশার তখন কথা ফুটল। সে যা বলল ভোম্বলদাসকে খুব ছোটাে-ছোটাে-করে তা শোনা মাত্রই যেন হাজার ছুচ ফুটল রাজার গায়ে । তিনি একবারে দস্ত কড়মড় করে চার থাবা দিয়ে নিজের গা আঁচড়াতে থাকলেন রাগে এমন যে নিজের ছাল-চামড়া 8ළුම්