পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবুই পাখির ওড়ন-বৃত্তান্ত ( নানান দেশের সামাজিক গঠন সম্বন্ধে আলোচনা ) তাঙ্গচড়াইগুলোই বাবু খেতাব পেয়ে হয়েছে বাবুই পাখি। অন্ত যে-সব চড়াই পাখি ঘরে ঘবে শহরে দেখা যায় তাদের কেউ বাবুই বলে না । এই ভুলটা যে ঘটেছে তার জন্তে মানুষগুলোই দায়ী । বাবুই হচ্ছে তাবা দেখতে যাব চড়াই কিন্তু আসলে শহর-ঘেষা এক জাতিরই পাখি ; আব যেগুলোকে মানুষে বাবুই বলছে সেইগুলোই হল আসলে চড়াই পাখি । চড়া শক্ত এমন তালগাছের মটকায় তারা থাকে বলেই তাদের তালচড়াই বলা হয়, এ পক্ষীতত্ত্বটা সবাই জানে না বলেই গোল করে । মানুষে যাই বলুক কিংবা খেতাবের ওলটপালটের দরুন পাড়াগেয়ে চড়াইগুলো আপনাদের বাবুই ভাবুন আব যাই ভাবুন, শহরের সাধারণ চড়াই যে অনেক বিষয়ে পাড়াগেয়ে তালচড়াইদেব চেয়ে তালগাছে না চড়েও উন্নত এবং বিদ্যে বুদ্ধি চটক ফটক সব দিক দিয়ে অগ্রগামী, তা অস্বীকার করবার জো নেই, বাবুই যদি বলতে হয় শহরের দলকে বলাই ঠিক । তালচড়াইকে তাল ঠকে বাবুই বলে আর যাই বলে তালচড়াই সে তালচডাই-ই থাকবে চিবকাল তালগাছেই । আমি এই সেীখীন, সব বিষয়ে উন্নত, শহুবে বা মেট্রোপলিটন বাবুই পাখির একজন । ছেলেবেলা থেকে আমি চালাক চতুর, চটপটে, ফুর্তিবাজ বা বাবুকছমের পাখি কিন্তু উচ্চশিক্ষার ফলে বেশ রাসভারী গম্ভীর-গম্ভীর গোছ দেখায় আমাকে। এর উপর একটু-আধটু কাব্য দর্শন সাহিত্য এমনি সব জিনিসের ক্ষুদকুড়ো তাও আমি পরিপাক করতে বাকি রাখিনি— কেননা সব বিষয়ে দশকর্ম মহাপণ্ডিত এমন একজন মানুষের বাড়ির চিলের ছাতে একটা মেটে নলের ভিতর আমি বাসা 88。