পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• নিয়েছি তখন কিছু তো ত্যাগ স্বীকার করা চাই, তা ছাড়া আমাদের সৈন্যগুলো নিষ্কর্ম থেকে থেকে ক্রমে লড়াই করা ভুলেই যাচ্ছে। আর খটমল দেশটাও শুনেছি খুব বড়ো দেশ– সেখানে ছারপোকাগুলোর রক্তেও অনেক চিনি আছে। শুষে নিতে পারলে বেশ অীয় আদায়ের সম্ভাবনা । এই লড়াইটাতে যত খরচ তার দশগুণ লাভ নিশ্চয়ই আমরা করে নিতে পারব ? আমি এখন খটমল দেশটাকে একবার দেখে নেবার আশায় জাদরেলের সঙ্গে আলাপ-সালাপ করে বিন ভাড়াতে যুদ্ধজাহাজে চড়ে খটমল রাজত্বের দিকে চলে গেলেম । জাহাজ তো নয়! দেখলেম যেন একটা কেল্লা। পল্টনে ঠাসা, বারুদ গোলা-গুলি আর বন্দুকে ভর্তি। দেখে আমার ভয় হল, যদি এক ফুলকি আগুন কোনো রকমে লাগে তো রক্ষে নেই । ভয় হল, এ জাহাজে চড়ে পড়াটা ভালে হল কি না । ভাবছি, এমন সময় লালমোহনের সঙ্গে দেখা । তিনি র্তার কঞ্চি কাগজের বিশেষ সংবাদদাতা হয়ে খটমল দেশে চলেছেন একটা লাল খাত হাতে । এক যাত্রায় পৃথক ফল ভালো নয়— এটা শাস্ত্রের কথা, কিন্তু আমার মনে হল যে দুজনে একই কাজে খটমল দেশে না গিয়ে তিনি যান এই বারুদ-ঠাসা জাহাজটায় সেখানে, আর আমি চলি পথের মাঝে যে মৌচাক রাজত্বটা আছে মধুবনে, সেখানের খবরাখবর আনতে । তা ছাড়া দেখলেম লাল পল্টনের একটা কাপ্তেনের সঙ্গে লালমোহনের মোহনবাগান ক্লাবে ভাব-সাব আছে । কথাও কয় লালমোহন ওদের ভাষায় আমার চেয়ে ভালো । সুতরাং খটমল দেশের ভার তাকে দিয়ে আমি যুদ্ধজাহাজ ছেড়ে মধুকর বলে একট। দেশি কোম্পানির ইস্ট্রম-জাহাজে মৌচাকপুরের দিকে চলে গেলেম। (মৌমাছিদের রাজতন্ত্র ) মৌমাছিদের রাজতন্ত্র সম্বন্ধে রিপোর্ট এবং থিসিস লিখতে হবে জেনেই আমি আমাদের তালতলীর লাইব্রেরি থেকে তালপাতায় এবং 82や