পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাপ্পাদিত্য তুষের আগুন যেমন প্রথম ধিক-ধিক, শেষে হঠাৎ ধূ-ধূ করে জলে ওঠে, তেমনি গোহের পর থেকে রাজপুতদের উপর ভালদের রাগ ক্রমে ক্রমে অল্পে-অল্পে বাড়তে-বাড়তে একদিন দাউ-দীউ করে পাহাড়ে-পাহাড়ে, বনে-বনে দাবানলের মতো জ্বলে উঠল। গোহের সুন্দর মুখ, অসীম দয়া, অটল সাহসের কথা মনে রেখে ভৗলের আট-পুরুষ পর্যন্ত রাজপুত রাজাদের সমস্ত অত্যাচার সহ্য করেছিল। যদি কোনো রাজপুত রাজ শিকারে যেতে পথের ধারে কোনো ভীলের কালে গায়ে বল্লমের খোচায় রক্তপাত করে চলে যেতেন, তবে তার মনে পড়ত— রাজা গোহ একদিন তাদেরই বংশের একজনকে বাঘের মুখের থেকে বাচিয়ে এনে নিজের হাতে তার বুকের রক্ত মুছে দিয়েছিলেন । যখন কোনো রাজকুমার, কোনো-একদিন শখ করে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তামাশা দেখতেন, তখন তাদের মনে পড়ত— এক বড়র— দুর্ভিক্ষের দিনে রাজা গোহ তার প্রকাগু রাজবাড়ি, পরিপূর্ণ ধানের গোল। তাশ্রয়হীন দীনদুঃখ ভীল-প্রজাদের জন্য সারা বৎসর খুলে রেখেছিলেন । ভাগ্য-দোষে যন্ধে জয় না হলে যেদিন কোনো কাপুরুষ যুবরাজ বিশ্বাসঘাতক বলে “নাপতিদেল মাথা একটির পর একটি হাতির পায়ের তলায় চূর্ণ করে ফেলতেন, সেদিন সমস্ত ভীল-বাহিনী চক্ষের জল মছে ভাৰত- - হায় রে হায়, মহারাজ গোহ ছিলেন, যিনি যুদ্ধের সময় ভায়ের মতো তাদের যত্ন করতেন, মায়ের মতো তাদের রক্ষা করতেন, বীরের মতো সকলের আগে চলতেন ! এত অত্যাচার, এত তাপমান, তবু সেই বিশ্বাসী ভীলপ্রজাদের সরল প্রাণ আট-পুরুষ পর্যন্ত বিশ্বাসে, রাজvক্তিতে পরিপূর্ণ ছিল! কিন্তু যখন বাপ্পাদিত্যের পিতা নাগাদিত্য ዓ¢