পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেয়েছিলেন দিদিমার কাছ থেকে । দিদিমার একটি সাতনরী হার ছিল, কী সুন্দর, দুগ গো-প্রতিমার গলায় যেমন থাকে সেই ধরনের। মা সেটিকে মাঝে মাঝে সিন্দুক থেকে বের করে আমাদের দেপাতেন , বলতেন, দেখ, আমাব শাশুড়ির খোস্বে শুকে দেখ, । আমরা হাতে নিয়ে শুকে শুকে দেখতুম, সত্যিই আতরচন্দনের এমন একটা সুগন্ধ ছিল তাতে । তখনো খোসবো ভূরভূর করছে, সাতনরী হারের সঙ্গে যেন মিশে আছে। সেকালে আতর মাখবার খুব রে ওয়াজ ছিল, আর তেমনই সব আতর । কতকাল তো দিদিমা মারা গেছেন, আমরা তখনো হইনি, এতকাল বাদে তখনো দিদিমায়ের খোস্বে। তার হারের সোনার ফুলের মধ্যে পেতুম । সেই হারটি মা স্থনয়নকে দিয়েছিলেন । ছোটোপিসিমার বিয়ে দিয়েই দিদিমা মারা যান । একবার দিদিমার অসুখ হয়। তখন দু-জন ফ্যামিলি ডাক্তার ছিলেন আমাদের । একজন বাঙালি, নামজাদা ডি. গুপ্ত , আর একজন ইংরেজ, বেলী সাহেব ।" এই দু-জন বরাদ্দ ছিল, বাড়িতে কারো অসুখ-বিসুখ হলে তারাই চিকিৎসাদি করতেন। বেলী সাহেবের তখনকার দিনে ডাক্তার হিসেবে খব নামডাক ছিল, তার উপরে দ্বারকানাথ ঠাকুর-মশায়ের ফ্যামিলি ডাক্তার তিনি।” রাস্ত দিয়ে বেলী সাহেব বের হলেই দু পাশে লোক দাড়িয়ে যেত ওষুধব জন্য। তার গাড়িতে সব সময় থাকত একটা ওষুধের বাক্স, গরিবদের তিনি অমনিই দেখতেন, ওষুধ বিতরণ করতে করতে রাস্ত চলতেন । তা দিদিমার অস্থখ, বেলী সাহেব এলেন, সঙ্গে এলেন ডি. গুপ্তও, দিদিমার অস্থখটা বুঝিয়ে দেবার জন্য । দিদিমা বিছানায় শুয়ে শুয়েই কাছে আনিয়ে দাসীকে দিয়ে মাছ তরকারি কাটিয়ে কুটিয়ে দেওয়াতেন, ছেলেদের জন্য রান্না হবে। বেলী সাহেব দাসীকে বাংলায় হাত ধোবার জন্য একটা ঘটি আনতে বললেন । দাসী বেলী সাহেবেব আড়বাংলাতে ঘটিকে শুনেছে বঁটি। সে তাড়াতাড়ি মাছকাটা বঁটি নিয়ে এসে হাজির । বেলী সাহেব চেচিয়ে উঠলেন, ও মা গো, বটি নিয়ে আপনার দাসী এল, আমার গলা কাটবে নাকি । দাসী তে এক ছুটে পলায়ন, আর বেলী সাহেবের হো-হে করে হাসি । এমনিই তিনি ঘরোয় ছিলেন। పెs