রবিকাকাও লিখেছেন তার ছেলেবেলায়। কর্তাদিদিমা বলতেন, সব ছেলেদের মধ্যে রবিই আমার কালে । সেই কালো ছেলে দেখে জগৎ আলো কবে বসে আছেন। কর্তাদিদিমা আঙল মটকে মারা যান। বড়োপিসিমার ছোটো মেয়ে, সে তখন ৰাছ, কর্তাদিদিমার আঙল টিপে দিতে দিতে কেমন করে মটকে যায়। সে আর সারে না, আঙলে আঙ লহাড় হয়ে পেকে ফুলে উঠল। জর হতে লাগল। কর্তাদিদিমা যান যান অবস্থা। কর্তাদাদামশায় ছিলেন বাইরে-— কর্তাদিদিমা বলতেন, তোরা ভাবিস মে, আমি কর্তার পায়ের ধুলো মাথায় না নিয়ে মরব না, তোরা নিশ্চিন্ত থাক্ । - কর্তাদাদামশায় তখন ডালহৌসি পাহাড়ে, খুব সম্ভব রবিকাকাও সে সময়ে ছিলেন র্তার সঙ্গে । তথনকাব দিনে খবরাখবর করতে অনেক সময় লাগত। একদিন তো কর্তাদিদিমার অবস্থা খুবই খারাপ, বাড়ির সবাই ভাবলে আর বুঝি দেখা হল না কর্তাদাদামশায়ের সঙ্গে। অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে, এমন সময়ে কর্তfদাদামশায় এসে উপস্থিত । খবর শুনে সোজা কর্তাদিদিমার ঘবে গিয়ে পাশে দাড়ালেন, কর্তাদিদিমা হাত বাড়িয়ে তার পায়ের ধুলো মাথায় নিলেন। ব্যস, আস্তে আস্তে সব শেষ । কর্তাদাদামশায় বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে । বাড়ির ছেলেরা অস্ত্যেষ্টক্রিয়ার যা করবার সব করলেন । সেই দেখেছি দানসাগর শ্রাদ্ধ, রুপোর বাসনে বাড়ি ছেয়ে গিয়েছিল । বাড়ির কুলীন জামাইদের কুলীন-বিদেয় করা হয় । ছোটোপিসেমশায় বড়োপিসেমশায় কুলীন ছিলেন, বড়ে বড়ো রুপোর ঘড়া দান পেলেন । কাউকে শাল-দোশালা দেওয়া হল । সে এক বিরাট ব্যাপার । আর-এক দিদিমা ছিলেন আমাদের, কয়লাহাটার রাজা রমানাথ ঠাকুরের পুত্রবধূ, নৃপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। রাজ রমানাথ ছিলেন দ্বারকানাথের বৈমাত্রেয় ভাই। সে দিদিমাও খুব বুড়ি ছিলেন। আমরা তার সঙ্গে খুব গল্পগুজব করতুম, তিনিও আমাদের দেখাদিদিম, তিনিও যশোরের মেয়ে। আমি যখন বড়ো হয়েছি মাঝে মাঝে ডেকে পাঠাতেন আমাকে ; বলতেন, অবনকে আসতে বোলো, গল্প করা যাবে। সে দিদিমার সঙ্গে আমার খুব জমত । আমি যে স্ত্রী-আচার সম্বন্ধে একটা গল্প লিখেছিলুম তাতে দরকারি X a\రి