পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসুক – নগেন্দ্রনাথ কী পোশাকে নামেন। তখনকার দিনের বিলেত-ফেরত সে এক ব্যাপার। জাহাজঘাটায় ভিড় জমে গেছে । ধুতি পাঞ্জাবি চাদর গায়ে, পায়ের জরির লপেট, ছোটোদাদামশায় জাহাজ থেকে নামলেন । সবাই তো অবাক । ছোটোদাদামশায় তো এলেন । সবাই বিয়ের জন্য চেষ্টাচরিত্তিব করছেন, উনি আর রাজী হন না কিছুতেই বিয়ে করতে। তখন সবেমাত্র বিলেত থেকে এসেছেন, ওখানকার মোহ কাটে নি । আমাদের দিদিমাকে বলতেন, বউঠান, ওই তো একরত্তি মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দেবে তোমর, আর আমার তাকে পালতে হবে, ও-সল আমার দ্বারা হবে না । সবাই বোঝাতে লাগলেন. তিনি আর ঘাড় পাতেন না । শেষে দিদিমা খুব বোঝাতে লাগলেন বললেন, ঠাকুরপো, সে আমারই বোন আমি তার দেখাশোনা সব করব – তোমার কিছুটি ভাবতে হবে না, তুমি শুধু বিয়েটুকু করে ফেলে কোনো রকমে । অনেক সাধাসাধনার পর ছোটোদাদামশায় রাজী হলেন । ছোটদিদিম৷ ত্রিপুরাসুন্দরী এলেন । ছোট মেয়েট, আমার দিদিমাই তার সব দেখাশোনা করতেন । বেনখোপা বেঁধে ভালো শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে দিতেন । বেনে-খোপা তিনি চিরকাল বাধতেন – আমরাও বড়ো হয়ে তাই দেখেছি, তার মাথায় সেই বেনে-খোপা । কোথায় কী বলতে হবে, কী করতে হবে, সব শিখিয়ে পড়িয়ে দিদিমাই মানুষ করেছেন ছোটোদিদিমাকে । তখনকার কালে কর্তাদের কাছে, আজকাল এই তোমাদের মতে কোমরে কাপড় জড়িয়ে হলুদের দাগ নিয়ে যাবার জো ছিল না । গিন্নির ছোটে থেকে বড়ে অবধি পরিপাটিরূপ সাজ করে, আতর মেখে, সি দুর-আলত পারে, কনেট সেজে, ফুলের গোড়ে-মালাটি গলায় দিয়ে তবে ঘরে ঢুকতেন । (? আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প – সেই প্রথম স্বদেশী যুগের সময়কার, কী করে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করলুম। ভূমিকম্পের বছর সেটা। প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে । নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ ছিলেন রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেণ্ট । $ ఆ &