পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি স্টেজে ঢুকে শাখ ফুকে ডাকাতদের ডাকবেন। স্টেজে ঢুকে শাখ ফুকতে যাচ্ছেন, চোখে সোনার চশমা চকচক করছে। আমি বলি, ও রবিকাক, চশমা, তোমার চোখে চশমা রয়েছে যে। রবিকাকা তাড়াতাড়ি মুখ ফিরিয়ে চশমা খুলে নিলেন। - ক্রৌঞ্চমিথুন শিকার করব, এবারে আর তুলোর বক এনে বসানো হয় নি। বুদ্ধি খুলেছে, ক্রৌঞ্চমিথুন দেখানোই হল না, অদৃশ্ব রয়ে গেল। সঙ্গীদের ডেকে ডেকে বলছি । দেখ দেখ, দুটে পাখি বসেছে গাছে। আয় দেখি চুপি চুপি আয় রে কাছে। সে একেবারে আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে এগচ্ছি, বোঝে তো স্টেজে ওইটুকু হাটতে ক-সেকেণ্ডেরই বা কথা কিন্তু মনে হত যেন সময় আর কাটে না। ধতুকে তাঁর লাগিয়ে টানাটানি করতে করতে যেই বলা আরে, ঝটু করে এইবারে ছেড়ে দে রে ৰাণ, সঙ্গে সঙ্গে সবায়ের তীর ছোড়া—অডিয়েন্সের মধ্যে কী খুশির ঢেউ। সবাই উচ্ছসিত হয়ে উঠল। পাকাটির তীর নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ল, খালি ক্রৌঞ্চমিথুনই বধ হল না। আর আমাদের সে কী গান, এই বেলা সবে মিলে চলো হো, চলো হে... ৰাজা শিঙা ঘন ঘন, শব্দে কঁাপিৰে ৰন। বন তো কাপত না, আমাদের গানের চীৎকারে পাড়ামৃদ্ধ লোক জমাট বাধত দরজার সামনে, ভাবত হল কী এদের। আকাশ ফেটে যাবে, চমকিবে পশুপাখি সবে, কিন্তু পাখি তখন কোথায়, আমাদের গানের এক-এক হুংকারে সাহেবদের টাক চমকে উঠত। আমরা হো হো হো হো’ শব্দে মেতে উঠতুম। অক্ষয়বাবুর তো ওই ভুড়ি, তার উপর আরো গোটা দুই বালিশ পেটের উপর চাপিয়ে কেটি জড়িয়ে ইয়া তুড়ি বাগালেন। আমরা গান করতুম, বনবাদাড় সব ঘেঁটেঘুটে আমরা মরি খেটে খুটে, তুমি কেবল লুটেপুটে পেট গোৱাৰে ঠেসে সে বলে খুব আচ্ছা করে সৰাই মিলে চার দিক থেকে অক্ষয়বাবুর ভুঁড়িতে ঘুৰি YCWO