পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হকুম করলেন। সে বলে, হজুৰ, ভলহে গিয়া, তাক নেছি, সব জাগোr ও ছোকরা হয়। কিন্তু রাজার হুকুম, ‘না বলবার উপায় নেই। ও দিকে দিগ্বিজয়ী ছাত্র সভায় ঢুকে পায়তার কষছে, ভাবটা বুড়োকে হারাতে আর কতক্ষণ। বুড়ে কী করে। সেলাম ঠুকে লেংটিটা টেনে পরে মাটি থেকে একটু খুলে হাতে মেখে সভায় ঢুকল। কুস্তি আরম্ভ হল। প্রথম কয়েক প্যাচ বুড়ে হারলে, দিগ্বিজয়ী সাকরেদ সহজেই তাকে ফেলে দেয়। সবাই ভাবলে’ বুড়ে হারে বুঝি এইবারে। শেষবার সাকরেদ প্যাচ দিতে যেমন এসেছে। এগিয়ে, বুড়ে এমন এক প্যাচ মারলে, চোখের নিমেষে সাকরেদ ছিটকে পড়ে। গেল অনেকটা দূরে বার-কয়েক ডিগবাজি খেয়ে। সভাস্বদ্ধ হৈ-হৈ। ওস্তাদ সাকরেদের দিকে চেয়ে বললে, ‘হুয়া ? সাকরেদ উঠে হাত জোড় করে বললে, ওস্তাদজি, এ প্যাচ তে আপ শিখলায় নেহি।’ বুড়ে বললে, ‘নেহি বেটা, আজকে ওয়ান্তে এ পাচ বাৰৰ বা। জানত সাকরেদের শখ হবে একদিন কুস্তি লড়তে ; সেই দিনের জন্য ওস্তাদ এই প্যাচ রেখে দিয়েছিল । আমার বেলাও হয়েছিল তাই। ঠিক একই কথা বলেছিল আমায় আমারই এক নামজাদা ছাত্র । আর্ট সোসাইটিতে আমার সেই পাখির সেটগুলি একৃজিবিট করেছি ; সে দেখে বললে, “এ কায়দা তো শেখান নি আমাদের। বললুম, সবই শিখিয়ে দেব নাকি? অনেক প্যাচ এখনো শিখি, রেখে দিই, তোমরা লড়তে এলে তখন শেখাব ৷ У о রবিক বলতেন, অবন একটা পাগলা । সে কথা সত্যি। আমিও একএক সময়ে ভাবি, কী জানি কোনদিন হয়তো সত্যিই খেপে যাব। এতদিনে, হয়তে পাগলই হয়ে যেতুম, কেবল এই পুতুল আমাকে বাচিয়ে রেখেছে। এই নিয়েই কোনোরকমে ভুলে থাকি। নয় তো কী দশাই হত আমার এতদিনে । একটা বয়স আসে যখন এ-সব ভুলে থাকবার জিনিসের দরকার হয়। একবার ভেবেছিলুম লেখাটা আবার ধরব, কিন্তু তাতে মাথার দরকার। এখন আর মাথার কাজ করতে ইচ্ছে যায় না। গল্প বলি, এটা হল মনের কাজ । এই মনের কাজ আর হাতের কাজই এখন আমার ভালো লাগে। তাই পুতুল: ૨૯:\છે