পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে থাকতুম দেখতে এবারে কী এনেছে। একবার এল সে, বললে, শরীর খারাপ, দেশে যাব কিছুকালের জন্য । বোম্বে যাচ্ছি, কিছু টাকা পড়ে আছে, তুলতে পারি কিনা দেখি। এবারে তাই বেশি কিছু আনতে পারি নি। তুব কিছু কাঞ্ছরের পুথি এনেছি এই দেখুন। খুব পুরোনো পুথি, দুপ্রাপ্য জিনিস, কিন্তু আমার তো কোনো কাজে লাগবে না। এ পুথি আমি নিয়ে কী করব । ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিতে হরিনাথ দে মস্ত ভাষাবিদ, সব ভাষাই তিনি জানতুেন শুধু চীনে ছাড়া ; বলতেন, ‘এবারে চীনে ভাষাটা আমার শিখতে হবে।’ র্তার কাছে যেতে বললুম এই পুথি নিয়ে। বেশ দাম দিয়েই রাখবেন, দরকারি জিনিস। বললুম, আর কী এনেছ দেখাও। সে একটি ছোট্ট পলার গণেশ বের করলে । বেশ গণেশটি ; পছন্দ হল । পাচ-সাত টাক চাইলে বোধ হয়, তা দিয়ে গণেশটি আমি পকেটে পুরসুম। বললুম, আর ? সে এবারে একটি কোঁটে বের করে বললে, ‘আর কিছু নেই সঙ্গে এবারে । সে একটি নাসদীন, খোদাই করা স্ট্রলের উপরে সোনার কাজ, একটা ড্রাগন আঁকা, বড়ো সুন্দর । রাখবার ইচ্ছে আমার । জিজ্ঞেস করলেম, দাম ? সে বললে পঞ্চাশ টাকা। আমি বললুম এ বড়ো বেশি চাইলে। সে বললে, ‘ত, এখন ওটা আপনার কাছুেই থাক্ । কেউ নেয় তো বেচে দেবেন। আমি ফিরতি পথে এসে টাকা নিয়ে যাব।’ ব’লে তাড়াতাড়ি জিনিসপত্তর গুটিয়ে চলে গেল। সে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই আমার কিরকম .খন মনে হল, জিনিসটা রাখলুম, দাম দিলুম না, বললে ওর শরীর খারাপ— যদি ও ফিরে না আসে আর ? কাজটা কি ভালো হল ? যাক, কী আর করা যাবে ? বাড়ি এসে অলকের মাকে পলার গণেশটি দিলুম, বললুম, এটি দিয়ে আমার জন্য একটি আংটি করিয়ে দিয়ে । সে আংটি আমার আঙলে অনেক দিন ছিল, পরে হারিয়ে গেল। আর নাসদানিটি তার হাতে দিয়ে বললুম, ‘এটি গচ্ছিত ধনের মতো সাবধানে রেখো। ওকে টাকা দেওয়া হয় নি এখনো ? তার পর এক বছর ষায়, দু বছর যায়, আর সে আসে না । হঠাৎ একদিন সেই লামার একটি ভাই এসে উপস্থিত। বললে, “সে সেবারে বোম্বে গিয়ে দু-চার দিন পরেই মারা গেছে। আপনাদের কাছে তার যা পাওনা আছে সেইসব টাকা আমায় দিন। আমি জানতুম, এই ভাইয়ের সঙ্গে লামার বনিবনাও ছিল না। বাড়িঘরের মুখদুঃখের কথা প্রায়ই বলত সে । এখন সেই ভাই, ভার 总@曾