পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিধারী ওড়িয়া কারিগর এল সোসাইটিতে কাজ করতে। তার প্রপিতামহও খুব বড়ো কারিগর ছিল । তার তৈরি তিনটি কাঠের সর্থী আছে আমার কাছে, অতি কুন্দর। গিরিধারী বলত, তার প্রপিতামহ নাকি পুতুলে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারত। সে একটা উৎসব অনুষ্ঠানের ব্যাপার ছিল । গিরিধারীর মুখে শুনেছি, সে তখন ছোটো, কাছে যাবার হুকুম ছিল না কিন্তু দেখেছে সেই উৎসবের ভোড়জোড়। একবার নাকি পুরীর রাজার শখ হয় ; তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে চাই পুতুল নিজে নিজে এসে জগন্নাথকে প্রণাম করবে। গিরিধারীর প্রপিতামহ সেই পুতুল তৈরি করেছিলেন । পুতুল নিয়ে গেল জগন্নাথের মন্দিরের কাছে, রাজাও এলেন । কারিগর সেখানে পুতুলকে ছেড়ে দিলে, পুতুল টকৃটকৃ করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে জগন্নাথকে প্রণাম করে ফিরে এল দেখে সকলে অবাক, রাজা বহু টাকা পুরস্কার দিলেন কারিগরকে । সেই গিরিধারীকে বলি ; যন্ত ডিলার ছিল আমাদের নানা জায়গা থেকে আর্টিস্টিক জিনিস এনে দিত, তাদের বলি। কেউ আর হারানো রাধার সন্ধান দিতে পারে না । মাতfপ্রসাদ নামে আমার আর-একজন লক্ষেীর ডিলার ছিল ; তার কাছে ষেট চাইতুম কিরকম করে হাতে এনে দিত। তাকেও বলে রেখেছিলুম আমার ওই রাধিক চাই । বহুদিন পরে সে একদিন এল নানারকম জিনিসপত্তর নিয়ে । বসে আছি বারান্দায় ; থলি থেকে একটি একটি জিনিস বের ক’রে আমার হাতে দিচ্ছে । দেখে কোনোটা রাখব বলে পাশে রাখছি, কোনোটা ফেরত দিচ্ছি । সবশেষে সে বের করলে একটি আইভরির পুরোনো মুতি, ল েথেকে এটি সে সংগ্রহ করেছে। বললে, ‘ভাঙা মূতি পছন্দ হবে কি না আপনার জানি নে ? ৰ’লে সেটি আমার হাতে দিল, মূতিটি হাতে নিয়ে আমার তো বুক ধড়াস ধড়াস করতে লাগল। এ যে আমার সেই রাধিক ! এতদিন ষাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। মুখ দিয়ে আমার আর কথা সরছে না। রাধিকার যে হাতে পদ্ম ধরে আছে সেই হাতটি আছে অন্য হাতটি ভাঙা । হাত ফিরতে ফিরতে হাত ভেঙে গেছে, বা যারা পুজো করত তারাই ফেলে দিয়েছিল হাত ভেঙে যাওয়াতে, কী জানি । ডিলার যা দাম চাইলে তাকে দিয়ে ঘরে উঠে এলুম। তখনি একজন ভালো কাঠের মিস্ত্রি ডাকিয়ে আমার রাধার জন্য একহাত উচু একটি মন্দিরের ফরমাশ করলুম। বললুম, এমনভাবে মন্দির তৈরি করবে סור ב יטצלכ stי.