পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই ইটালিয়ান মাস্টারের কাছে। কিছুদিন যায়, দেখি তার কাছে হাতেখড়ির পর বিষ্ঠে আর এগোয় না। তেলরঙের কাজ যখন আরম্ভ করলুম, দেখি ইটালিয়ান ধরনে আর চলে না। বাধা গতের মতে। তুলি দিয়ে ধীরে ধীরে আঁকা, সে আর পোষালো না। আগে গাছপাল অ্যাকার মধ্যে তবু কিছু আনন্দ পেতুম। কিন্তু ধরে ধরে আর্টস্কুলের রীতিতে তুলি টান। আর রঙ মেলানে, তা আর কিছুতেই পেরে উঠলুম না। ছ মাসের মধ্যেই স্ট-ডিয়োর সমস্ত শিক্ষা শেষ করে সরে পড়লুম। বিয়ে হয়েছে, রীতিমত ঘরসংসার আরম্ভ করেছি, কিন্তু ছবি আঁকার ঝোকটা কিছুতেই গেল না। তখন এই পর্যন্ত আমার বিদ্যে ছিল যে নর্থলাইট মডেল না হলে ছবি আঁকা যায় না। আর স্টুড়িয়ে না হলে আর্টিস্ট ছবি আঁকবে কোথায় বসে ? উত্তর দিকের ঘর বেছে বাড়িতেই স্টাডিয়ো সাঙ্গালু । নর্থলাইট সাউথলাইট ঠিক করে নিয়ে পর্দ। টানালুম জানালীয় দরজায় স্কাইলাইটে। বসলুম পাকাপাকি স্ট-ডিয়ে ফেদে। রবিক খুব উৎসাহ দিলেন। সেই স্ট ডিয়ো তই সেই সময় রবিক। চিত্রাঙ্গদার ছবি আঁকতে আমায় নির্দেশ দিচ্ছেন, ফোটোতে দেখেছ তে| চিত্রাঙ্গদ । তখন সবে লেথ হয়েছে, রবিক বললেন, "ছবি দিতে হবে ।’ আমার তখন একটু সাহসও হয়েছে, বললুম, রাজি আছি। সেই সময়ু চিত্রাঙ্গদার সমস্ত ছবি নিজ হাতে একেছি, ট্রেস করেছি। চিত্রাঙ্গদ প্রকাশিত হল । এখন অবশ্য সে সব ছবি দেখলে হাসি পায় । কিন্তু এই হল রবিকার সঙ্গে আমার প্রথম আর্ট :ি যোগ । তার পর থেকে এতকাল রবিকার সঙ্গে বহুবার আর্টের ক্ষেত্রে যোগাযোগ হয়েছে, প্রেরণা পেয়েছি তার কাছ থেকে । আজ মনে হচ্ছে আমি যা-কিছু করতে পেরেছি তার মূলে ছিল তার প্রেরণা। সেই সময়ে রবিকার চেহারা,আমি অনেক একেছি, ভালো করে শিখেছিলুম প্যাস্টেল ডুইং নিজের স্টডিয়াতে যাকে পেতুম ধরে ধরে প্যাস্টেল আঁকতুম। অক্ষয়বাবু, মতিবাবু, সবার ছবি করেছি, মহৰ্ষির পর্যন্ত । এই করে করে পোট্রেটে হাত পাকালুম। রবিকাকেও প্যাস্টেলে আঁকলুম, জগদীশবাবু সেটি নিয়ে নিলেন। সেই সময়ে রবিবর্ম। আমাদের যাড়িতে এসেছিলেন। তখন আমি নতুন আর্টস্ট—তিনি আমার স্ট ডিয়োতে আমার কাজ দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। రి ఆ