পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডিত্য নয়, এ ষে স্বষ্ট্রি—সাহিত্যে এ পরম দুর্লভ। প্রাণের মধ্যে প্রাণ রক্ষিত হয়েছে—এমন স্থযোগ দৈবাৎ ঘটে। ২৭ জুন ১৯৪১। রবিকাক৷ অবন, এক দিন ছিল যখন জীবনের সকল বিভাগে প্রাণে পরিপূর্ণ ছিল তোমাদের রবিকাকা। তোমরাই তাকে অন্তরঙ্গভাবে এবং বিচিত্র রূপে নানা অবস্থায় দেখতে পেয়েছ। তোমাদের সোনার কাঠি ছুইয়ে আজ তাকে যদি না জাগিয়ে তুলতে, তবে তার অনেকখানি দেশের মন থেকে লুপ্ত হয়ে যেত। আজকে যখন দিনান্তের শেষ আলোতে মুখ ফিরিয়ে দেশ তার ছবি একবার দেখে নিতে চায়—তখন তোমার লেখনী তাকে পথ নির্দেশ করে দিলে—এ আমার সৌভাগ্য। যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছি—সে দেশে পূর্ণ আসন থাকবে ন—এই আশঙ্কা আমি অহুশোচনার বিষয়ে বলে মনে করি নি। অনেক বারই ভেবেছি আমি আজন্ম নির্বাসিত—এ আমি বার বার মনে স্বীকার করে নিয়েছি। আজ তুমি যে ছবি খাড়া করেছ সে অত্যন্ত সত্য, অত্যন্ত সজীব । দীর্ঘকালের অবমাননা সে দূর করে দিয়েছে—সেই নিরস্তর লাঞ্ছনা ও মানির মধ্যে আজ যেন তুমি তার চার দিকে তোমার প্রতিভার মন্ত্রবলে এক দ্বীপ পাড়া করে দিয়েছ। তার মধ্যে আশ্রয় পেলুম। ২৯ জুন ১৯৪১ তোমাদের রবিকাক৷ জোড়ার্সাকোর ধারে ‘জোড়ার্সাকোর ধারে প্রকাশিত হয় ১৩৫১ সালের কাতিক মাসে। প্রকাশ করেন বিশ্বভারতী । এই গ্রন্থও, ‘ঘরোয়া’র মতোই, শ্রুতিধরী শ্রীমতী রানী চন্দ-কর্তৃক লিপিবৃত। সুচনায় অবনীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “যত স্বখের স্মৃতি তত দুঃখের স্মৃতি—আমার মনের এই দুই তারেঘ দিয়ে দিয়ে এই সব কথা আমার শ্রতিধর শ্রীমতী রানী চন্দ এই লেখায় ধরে নিয়েছেন।•••• “শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে এই প্রসঙ্গে শ্রীমতী রানী চন্দ লিখেছেন ঃ 8S 8.