পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার প্রায়ই মনে পড়ে, সে অনেক দিনের কথা, রবিকাকার অনেক কাল আগেকার একটা ছড়া। তখন নীচে ছিল কাছারিধর, সেখানে ছিল এককর্মচারী, মহানন্দ নাম, শাদ চুল, শাদা লম্বা দাড়ি। তারই নামে তার সব বর্ণনা দিয়ে মুখে মুখে ছড়া তৈরি করে দিয়েছিলেন, সোমক প্রায়ই সেটা আওড়াতেন— মহানন্দ নামে এ কাছারিধামে আছেন এক কর্মচারী, ধরিয়া লেখনী লেখেন পত্রখানি সদা ঘাড় হেঁট করি। আরো সব নানা বর্ণনা ছিল— মনে আসছে না, সেই খাতাটা খুঁজে পেলে বেশ হত। কী সব মজার কথা ছিল সেই ছড়াটিতে— হস্তেতে বFজনী স্তস্ত, মশা মাছি ব্যতিব্যস্ত— তাকিয়াতে দিয়ে-ঠেল— ভুলে গেছি কথাগুলো । মহানন্দ দিনরাত পিঠের কাছে এক গির্দ। নিয়ে খাতাপত্রে হিসাবনিকেশ লিখতেন, আর এক হাতে একটা তালপাতার পাখা নিয়ে অনবরত হাওয়া করতেন। রবিকাকাকে বোলো এই ছড়াটির বঙ্গা, বেশ মজা লাগবে, হয়তো তার মনেও পড়বে। দেখো, শিল্প জিনিসটা কী, তা বুঝিয়ে বলা বড়ে। শক্ত। শিল্প হচ্ছে শখ। যার সেই শখ ভিতর থেকে এল সেই পারে শিল্প স্বষ্টি করতে, ছবি আঁকতে, বাজনা বাজাতে, নাচতে, গাইতে, নাটক লিখতে— যা’ই বলে । একালে যেন শখ নেই, শখ বলে কোনো পদার্থই নেই। একালে সবকিছুকেই বলে ‘শিক্ষা’। সব জিনিসের সঙ্গে শিক্ষা জুড়ে দিয়েছে। ছেলেদের জন্য গল্প লিখবে তাতেও থাকবে শিক্ষার গন্ধ। আমাদের কালে ছিল ছেলেবুড়োর শখ বলে একটা জিনিস, সবাই ছিল শৌখিন সেকালে, মেয়ের পর্যন্ত— তাদেরও শখ ছিল। এই শৌখিনতার গল্প আছে অনেক, হবে আর-এক দিন। কত রকমের শখ ছিল এ বাড়িতেই, খানিক দেখেছি, খানিক শুনেছি। যার গল্প বলেছেন তারা গল্প বলার মধ্যে যেন সেকালটাকে জীবন্ত করে এনে সামনে, ধরতেন। এখন গল্প কেউ বলে না, বলতে জানেই না। এখনকার লোকের جون