পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিল না । ইহার পরে অন্যান্য কথাবার্তা চলিতে লাগিল । কথায় কথায় হরিলক্ষ্মী তাহার বাপের বাড়ির কথা, ভাই-বোনের কথা, মাস্টারমশায়ের কথা, স্কুলের কথা, এমনকি তাহার ম্যাটিক পাস করার কথাও গল্প করিয়া ফেলিল । অনেকক্ষণ পরে যখন হুশি হইল, তখন স্পষ্ট দেখিতে পাইল, শ্রোতা হিসাবে মেজবৌ যত ভালই হউক, বক্তা হিসাবে একেবারে অকিঞ্চিৎকর । নিজের কথা সে প্রায় কিছুই বলে নাই । প্রথমটা লক্ষ্মী লজ্জা বোধ করিল, কিন্তু তখনই মনে করিল, আমার কাছে গল্প করিবার মত তাহার আছেই বা কি ! কিন্তু কাল যেমন এই বধুটির বিরুদ্ধে মন তাহার অপ্রসন্ন হইয়া উঠিয়াছিল, আজ তেমনি ভারী একটা তৃপ্তি বোধ করল। দেয়ালের মূল্যবান ঘড়িতে নানাবিধ বাজনা-বাদ্য করিয়া তিনটা বাজিল । মেজবৌ উঠিয়া দাড়াইয়া সবিনয়ে কহিল, দিদি, আজ তা হলে আসি ? লক্ষ্মী সকৌতুকে বলিল, তোমার বুঝি ভাই তিনটে পর্যন্তই ছুটি ? ঠাকুরপো না কি কঁাটায় কাটায় ঘড়ি মিলিয়ে বাড়ি ঢোকেন ? মেজবৌ কহিল, আজ তিনি বাড়িতে আছেন । আজ কেন তবে আর একটু ব'সো না ? মেজবে বসিল না, কিন্তু যাবার জন্যও পা বাড়াইল না । আস্তে, আস্তে বলিল, দিদি, আপনার কত শিক্ষা-দীক্ষ", কত লেখাপড়া, আমি পাড়াগায়ের - তোমার বাপের বাড়ি বুঝি পাড়াগায়ে ? হাঁ দিদি, সে একেবারে অজ পল্লীগ্রামে । না বুঝে কাল হয়ত কি বলতে কি বলে ফেলেছি, কিন্তু অসম্মান করার জন্মে, -- আপনি যে দিব্যি। कब्राड दब्लिविन्, नेिग्रेि হরিলক্ষ্মী আশ্চর্য হইয়া কহিল, সে কি মেজবীে, তুমি ত আমাকে এমন কোন কথাই বলনি ! মেজবৌ এ কথার প্রত্যুত্তরে আর একটা কথাও কহিল না , কিন্তু ܐ ܠ