পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুইজন প্রাচীন সৈনিক এই দুই ভবনের অধিকারী । একজনের নাম ক্যাপ্টান নোেল ; অপরের নাম কর্ণেল হ্যারিংটন । যুদ্ধকর্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া দুই বন্ধু নির্জনে এই দুটি অট্টালিক। সামর্থ্য অনুসারে ক্রয় করিয়া বাস করিতেছিলেন। Captain Nol'-এর একটি মাত্র কন্যাai cofă : Colonel Hurrington-gae asft zia পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, তা হার নাম লিওপোলভ-জননী আদর করিয়া লিও বলিয়া ডাকিতেন । একদিন লিওর জননী পুত্রকে শিয়রে বসাইয়া মেরিকে আশীৰ্বাদ করিয়া স্বামীর কর নিজ করে গ্রহণ করিয়া বসন্তাপ্রভাতে সূর্যোদয়ের সহিত হাসিমুখে চিরদিনের মত প্রস্থান করিলেন । লিওর তখন দশ বর্ষ। মাত্র বয়ঃক্রম ;-খুব কঁাদিতে লাগিল । মেরির জননী আসিয়া তাহাকে ক্রোড়ে তুলিয়া লইলেন, মুখ চুম্বন করিয়া বলিলেন, "ভয় কি বাবা, আমি চিরদিন তোমার মা হইয়া থাকিব ।’ সপ্তবর্ষীয়া বালিকা মেরি লিওর হাত ধরিয়া বলিল, “লিও কঁাদিও না-চুপ কর । লিও চুপ করিল ; স্ত্রীবিয়োগের পর কর্ণেল হ্যাবিংটন জুয়াক্রিীড়ায় নিতান্ত মনঃসংযোগ করিলেন । সঞ্চিত অর্থ যত সন্ধুচি ত হইয়া আসিতে লাগিল, প্রবাসী পুত্রমুখ স্মরণ ক্ষরিয়া তত অধিক উৎসাহের সহিত নষ্ট ধন পুনঃপ্রাপ্তির আশায় জুয়াক্রিীড করিতে লাগিলেন । ক্রমে সমস্ত নিঃশেষ ক্ষইয়া আসিল, ক্রীড়াবা মত্ততায় তিনি আত্মবিস্মৃগু হইয়া বন্ধু নোলের নিকট বাটী বন্ধক রাখিয়া ঋণ গ্রহণ করিলেন ! তাহাও শেষ হইল দারুণ নিরাশায় তঁহার উন্মত্ততা আসিল, একদিন রাত্রে খাইবার সংস্থান পর্যন্ত নাই--আর সহ্য হইল না-বন্দুকে গুলি ভরিয়া আত্মহত্যা করিলেন । পুত্র লিও তখন লণ্ডনে বিদ্যাভ্যাস করিতেছিল - সংবাদ পাইয়া বাটী আসিল । মেরিব জননী তখন জীবিত নাই । ক্যাপ্টান নোেল মৌখিক সাস্তুনা মাত্র করিলেন । সপ্তদশ বন্ধীয় লিও অকুলসমূদ্র দেখিযা যখন ছটফট করিতেছিল, নিরতিশয় মমতায় করুণ অশ্রুভারাক্রান্ত গু ক্ষু দুটি SS