পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার বাটী ঘর দ্বার সমস্ত বিক্রি করিয়া লইব ।” বৃদ্ধ ভাবিল, ভিতরে কিছু ঘটিয়াছে ; তথাপি বলিল, “এই সেদিন পুস্তক বিক্রয় করিয়া আমার নিকট হু হাজার পাউণ্ড জমা দিয়া গিয়াছে। আর তাহার কিছু নাই । সেদিন বলিয়াছিল যে, সম্ভবতঃ আর দুই তিন বৎসরের মধ্যে বাকী টাকা পরিশোধ করিবে । কিন্তু এত তাড়াহুড়া করিলে তাহার বাটী বিক্রয় ভিন্ন অন্য উপায় নাই ।” মেরি আগ্রহের সহিত বলিল, “বাটী বিক্রয় হইবে ? “বোধ হয় ।” “হয় হউক।--উত্তম কথা। আমার টাকা চাই । সাত দিনের মধ্যে-না হয় নালিশ করিও ।” বৃদ্ধ অনেক দেখিয়াছে কিন্তু এমনটি দেখে নাই। বলিল, “এত অল্প বয়সে তাহাকে পথের ভিখারী করিবে ? কাহাকে দেশত্যাগী করা উচিত কি ?” মেরি চক্ষু রাঙ্গাইল । ‘টাকা তোমার নয়, আমার । আমি তাহাকে পদতলে টানিয়া লইতে চাই ।” শেষ কথাটা বৃদ্ধ ভাল শুনিতে পাইল না, বলিল, “কি করিতে চাও ? “কিছু না । শুধু টাকা চাই। আজ নোটিশ দাও-ঠিক সাত ਇਸ 而叫 নোটিশ পাইয়া লিওপোল্ডের সমস্ত সংসার অন্ধকার বোধ হইল। সমস্ত রাত্রি চিন্তা করিয়াও সে কুল দেখিতে পাইল না । প্রাতঃকালে, মেরি আপনার কক্ষে বসিয়া রক্তবর্ণ চক্ষু নত করিয়া কি ভাবিতেছিল, এমন সময় ভূত্য আসিয়া কহিল, “নীচে লিণ্ড দাড়াইয়া আছে ।” মেরি মুখ তুলিয়া বলিল, ‘কে ? ஜே ‘দূর করিয়া দাও।” ভূত্য ভাবিল মন্দ নয়। সে চলিয়া যাইতেছিল §ර්ව්