পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seo অভাগী হ’য়েছে। সুতরাং, বিগত দুই বৎসরে স্বামী অচলানীন্দজি সুশীলাকে একেবারে দেবী তৈরী করে দিয়েছেন ; তার হরিদ্বারের আশ্রমে বাস বিফল হয় নাই-সর্বাংশে সফল হ’য়েছে । আর একটা কথা বলি। এমন অসাধারণ মেধা আমি কোন স্ত্রী-পুরুষে দেখি নাই। মেয়েটা, যাকে তোমরা শ্রুতিধর, বল, তাই। এই সামান্য কয়টা দিনে সে ইংরাজী ভাষা এমন শিখে ফেলেছে যে, আমি অবাক হ’য়ে গিয়েছি। যে কথাটী যেমন ক’রে বলেছি, ঠিক তেমনই ক’রে সে কথা সে আয়ত্ত করে নিয়েছেণ। পড়াশুনার জন্য তো এ কয়দিন সে বেশী সময় ব্যয় করে নাই। প্রাতঃকালে উঠে সেই যে ডেকে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ব’সে সমুদ্র আর আকাশের দিকে চেয়ে থাকে, সে এক অপূর্ব দৃশ্য। সে যেন তন্ময় হ’য়ে যায়। আমি তার এই ধ্যান ভঙ্গ করিনে। দশটার পর সে স্নান করে। --তারপর আমার কাছে ব’সে ইংরাজী পড়ে । তার পড়ার সঙ্গে আমি দৌড়ে পেরে উঠিনে। চারটে বাজিলেই সে পড়া ছেড়ে ওঠে ; তখন আর তাকে ক্যাবিনের মধ্যে আটকে রাখতে পারিনে-সমুদ্র আর আকাশ যেন তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। সে তখন অধীর আগ্রহে ডেকের দিকে ছুটে যায়। তারপর সেই অপার জলনিধি। আর অসীম আকাশ তাকে গ্রাস ক’রে ফেলে। এ মেয়েকে কি বলবি হরেন্দ্র ! সারাদিন্তু সে কিছু খায় না-জলবিন্দুও না । সন্ধ্যার পর ক্যাবিনের মধ্যে একবার এসে সামান্য ফলাটল খায় ; তারপরই