পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানপুরে এখন আমরা যে বাড়ীতে বাস করছি, এটা আমাদের নূতন বাড়ী। আগে আমাদের বাড়ী একেবারে শহরের মধ্যে ছিল । সে বাড়ীর অসুবিধা অনেক ছিল ; ভাল আলো-বাতাস সে বাড়ীতে প্রবেশ করতে পারত না ; গায়ে গায়ে বসতি ছিল । সেই জন্য বাবা শহরের একপ্রান্তে অনেকখানি জমি নিয়ে আমাদের এই বাড়ীটা তৈরী করেছিলেন ; আগের বাড়ীটা ভাড়া দেওয়া আছে।. এ বাড়ীটা নিতান্ত ছোটও নয়, আর যে খুব বড় তাও নয় । বাড়ীী ছোট হ’লেও চারপাশে অনেক জমি । বাবার বাগানের সখ খুব বেশী ছিল ; তিনি অবসর-সময়ে নিজে বাগানে কাজ করতেন ; সেই জন্য বাড়ীর সম্মুখে ফুলের বাগান, দুই পাশে এবং পিছনে ফলের বাগান, শাক-সবুজীর বাগান তারই যত্নে ও চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল । বাবার এই বাগানের সখ উত্তরাধিকার সুত্রে আমিও পেয়েছি । আমিও প্রতিদিন এখনও বাগানে কাজ করি । একদিন বিকেল বেলায় আমি বাগানের মধ্যে কতকগুলি নূতন ফুলের গাছ বসাচ্ছিলাম, আমার ছেলে ভবশঙ্কর আমার পাশেই দাড়িয়ে ছিল, এমন সময় একখানি ভাড়াটে গাড়ী আমাদের বাড়ীর গেট দিয়ে ভিতরে এল । আমি মনে করলাম, হয় তো কোন রোগীর বাষ্ঠী থেকে আমাকে কেউ ডাকতে এসেছে।