পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী তুলিয়া রমানাথের দিকে চাহিল। রমানাথ এ দৃষ্টির জন্য গ্রস্তুতই ছিল। পাণ্ডাগিরি ব্যবসায়ে সে অভ্যন্ত হইয়াছিল। সে তাহার মুখের ভাব এমনই পরিবর্ত্তিত করিয়া ফেলিল যে, তাহাকে দেখিয়া সুশীল। তাহাকে নিতান্ত ধর্ম্মপরায়ণ, পরহিতব্রত, দরিদ্র ব্রাহ্মণ বলিয়াই মনে করিল। সুশীলা তখন সেই রাজপথের পাশ্বেই গলবস্তু হইয়া রমানাথকে প্রণাম করিল - তাহার পর অনুচ্চস্বরে বলিল, “বাবা, আমি বড় দুঃখিনী । বড় কষ্টে, বড় বিপদে পড়ে বাবা বিশ্বনাথের চরণে শরণ নিতে এসেছি। সঙ্গে কেউ নেই, কিছুই নেই, বল ভরসা। শুধুই বাবা বিশ্বনাথ। কাল সারারাত্রি গাড়ীতে পড়ে আমি একমনে বাবাকে ডেকেছি। তিনিই, দয়া ক’রে আপনাকে পাঠিয়েছেন। আপনি বাঙ্গালী, আপনি ব্রাহ্মণআমিও বাঙ্গালীর মেয়ে। আমাকে আপনি একটু আশ্রয় দেবেন। আমি আপনার ঘরে দাসীবৃত্তি করব। আর কিছুই চাইনে ?” রমানাথ বলিল, “মা, রাস্তায় এত লোক চলছে, কই কারও দিকে ত আমার দৃষ্টি পড়ল না! বাবা বিশ্বনাথই আমার প্রাণের ভিতর থেকে তোমাকে সাহায্য করুবার २२४ ]