ऊली থাকতেই তোমার পথ তুমিই ক’রে নিতে পারবে-এক বাৰু ছেড়ে এসেছ, দশটা বাবু জুইবে।” সুশীলার বুক কঁাপিয়া উঠিল—ক্ষ্যামা বলে কি ? সে তাকে কি মনে কুরিয়াছে ? সুশীলা কাতরস্বরে বলিল “ক্ষ্যাম, তুমি আমার মা। আমার বাবুত নেই! আমি ত কোন বাবুর কাছে ছিলাম না । ক্ষ্যামা, তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ ; আমি ঘর ছেড়ে এসেছি বটে, আমি ত ধর্ম্ম হারাই নেই! মামাগো !” সুশীলা আর কথা বলিতে পারিল না।--তাহার যে তখন কি অবস্থা, তাহা বর্ণনা করা অসাধ্য । সুশীলাকে আবার কঁদিতে দেখিয়া ক্ষ্যামা বলিল “ওগো কেঁদ না, চুপ কর । কঁাদবার সময় অনেক পাবে। এখন ওঠ, হাতে মুখে জল দেও, তার পর কিছু খাও। এই গলির মোড়েই দোকান আছে ; আমি সেখান থেকে খাবার নিয়ে আসছি । তুমি হাতেমুখে জল দিয়ে ঘরের ভিতর গিয়ে বস্লে তবে আমি দোকানো যেতে পারি।” ‘সুশীলা কাতরস্বরে বলিল “আমি একলা কেমন ক’রে থাকুব । না ক্ষ্যামা, তোমার দোকানে গিয়ে কাজ নেই ; আমি আজ কিছুই খাব না, আমাকে সুধু একটু গঙ্গাজল এনে দাও ” S(8
