পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী মত অপবিত্র স্থানও বুঝি আমাদের দেশে আর নাই'। বাবা বিশ্বেশ্বরের পাদপদ্মে আশ্রয়-লাভের জন্য, অস্তিমে জাহ্নবীতীরে তুঙ্গু-ত্যাগের জন্য অনেক ধর্ম্মপিপাসু নরনারী এখানে জীবনের অবশিষ্টকাল কাটাইতে আগমন করিয়া থাকেন। আবার দেশের যত পাপের বোঝা নামাইবার জন্য, ধর্ম্মের নামে বীভৎস কার্য্যের অনুষ্ঠান করিবার জন্যও শত শত নারীনর এই পুণ্যভূমিতে আগমন করিয়া থাকে । কেহ বা ধর্ম্মের আবরণে, আর কেহ বা প্রকাশ্যভাবে এখানে বীভৎস কার্য্য করিয়া থাকে । কাশীতে যে প্রতিদিন কত কুৎসিত কার্য্যের অনুষ্ঠান হয়, তাহা বলা দূরে থাকুক, মনে করিতেও শরীর শিহরিয়া উঠে । যাক, সে সকল পাপের চিত্র আর দেখাইয়া কাজ নাই, তাহা গোপনষ্ট থাকুক। বাবা বিশ্বনাথের নিকট প্রার্থনা করি, এ সকল কলুষিত ব্যাপার যেন কাশীর বক্ষ হ’তে মুছিয়া যায়--কাশী ধেন সত্যসত্যই স্বৰ্গে পরিণত হয় । : সুশীলা যে বাড়ীতে আশ্রয় পাইয়াছে, বাড়ীওয়ালী ঐ বাড়ীখানি যাত্রীদিগকে ভাডা দেয় না, এ কথা পূর্বেই বলিয়াছি। তবে কি বাড়ীখানি পড়িয়া থাকে ? তাহা নহে। কাশীতে এই রকম অনেক বাড়ী আছে। সে সকল বাড়ী , দিবাভাগে ১৫৯ }