পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী মুখোপাধ্যায়ু-গৃহিণী যে, ইহাতে বিশেষ সন্তুষ্ট হইলেন, তাহা আমরা বলিতে পারি না । তিনি সুশীলাকে একটা আপদ। ৱিলিয়াই মনে করিলেন। কোথাকার পথে-কুড়ান যুবতী বিধবা! কেহাঁর ভরণপোষণ করিতে হইবে, ইহা তাহার বড় মনঃপূত হইল না। তবে কর্ত্তা মেযেটিকে বাসায় স্থান দিতে যখন স্বীকৃত হইয়াছেন, তখন তাহাকে তিনি তাড়াইয়া দিতে পারিলেন না। বাসায় যে দুইজন দাসী ছিল, তিনি নানা আছিলায় তাহার একজনকে বিদায় করিয়া দিলেন ; এবং বলা বাহুল্য, সুশীলা সেই দাসীর পদ অধিকার করিল। সুশীলা ইহাতেই কৃতার্থ হইয়া গেল, তাহার ন্যায় আশ্রয়হীন যুবতী যে, এমন একটা মহাদাশ্রয় লাভ করিল, ইহারই জন্য সে বিশ্বনাপের চরণে প্রণাম করিয়া দাসীবৃত্তিতে লাগিয়া গেল। তাহার জীবনে যে এই প্রকার একটা দাসীর কার্য্যও লাভ হইবে, ইহাও সে মনে করিতে পারে নাই। মুখোপাধ্যায়-গৃহিণীর সমস্ত কাজ সে করিয়া দিত । দিনরাত্রি সে খাটিত । পিতামাতার আদরিণী কন্যা। আজ এই পরিচারিকার কার্য্য পাইয়াই কৃতার্থ হইল। হায় অবস্থ বিপর্য্যয় ! হায় রমণীর মোহ ! সুশীলা। এই ব্রাহ্মণের আশ্রয়েই এক বৎসর কাটাইল ; SS 8