পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী দুঃখে কষ্টে দাসীবৃত্তি করিয়া তাহার জীবনের একটি বৎসর কাটিয়া গেল। কিন্তু ভগবান তাহার অদূদ্ষ্টে ত সুখ লেখেন নাই! তাহার অদৃষ্ট যদি সুখাই থাকিবে, তাহা হইলে সে অল্প-বয়সে বিধবা হইবে কেন ? তাহার অদৃষ্ট যদি সুখাইথাকিবে, তাহা হইলে তাহার পিতা এমন করিয়া কারাবাসী হইবেন কেন ? তাহার অদৃষ্ট যদি সুখই থাকিবে, তাহা হইলে সতীশ চট্টোপাধ্যায়ের ন্যায় অকৃত্রিম বন্ধু, আজকালকার এই স্বার্থপর্ব্ব দেশের মধ্যে পাইয় তাহার মর্য্যাদা সে রক্ষণ করিতে পারিল না। কেন ? তাহার অদৃষ্ট যদি সুখই থাকিবে, তাহা হইলে তাহার এমন ভয়ানক মতিভ্রম হইবে কেন ? সে ক্ষণিক কিসের মোহে অভিভূত হইয়া পবিত্র মাতৃক্রোড় ত্যাগ করিয়া আসিবে কেন ? তাহার হৃদয়ে যে পাপের সঞ্চার হইয়াছিল, সে যে বাসনার দাসীত্ব করিবার দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল, এ কথা খুবই ঠিক। বিধবার পক্ষে ইহাই অমার্জনীয় অপবাধ ! এই অপরাধের জন্য তাহার উপর যে কঠিন শাস্তি, যে বিষম প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা হইয়াছিল, যে প্রায়শ্চিত্ত সে এতদিন নীরবে সহস্থা করিয়া আসিতেছিল এবং জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত সন্থা করিতে হইবে বলিয়া বুঝিয়াছিল, তাহার సి{ }