পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী কেমন ? তার জন্য ত প্রস্তুত হইয়াই বাবার দ্বারে আসিয়াছি। তুমি এক কাজ কর, ঔষধপত্রের ব্যবস্থা অপেক্ষা অন্য ব্যবস্থা কর; ছেলেদের খবর দেও। পরকালের ব্যবস্থা কর।” স্পষ্ট কবিরাজ মহাশয় বলিলেন “না, তেমন কিছু নয় ; তবে কি না, তিনদিনের জরে নাড়ীর এমন অবস্থা বড়-একটা দেখা যায় না। তবে বুড়া হাড়, সামলেও যেতে পারে।” মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিলেন “সে জন্য ভাবনার দরকার নেই। ছেলেদের খবর দেও ; যদি বেশী দেরী নেই বোঝ, তাহলে বরঞ্চ একটা টেলিগ্রাম পাঠিয়ে দেও৷ ” কবিরাজ মহাশয় বলিলেন “তা, কি জানেন, ভালমন্দ ত বলা যায় না। এখনই একটা তার পাঠিয়ে দেওয়াই ९ड्छiछ ।' কবিরাজ তারও পাঠাইলেন, ঔষধও দিয়া গেলেন। কিন্তু ঔষধে কিছুই হইল না । তাহার পর তৃতীয় দিনে পুত্র, পৌত্র, দুহিতা, দৌহিত্র পরিবৃত হইয়া, বিশ্বনাথের নাম করিতে করিতে বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সজ্ঞানে কাশীলাভ হইল। যথাসময়ে শ্রাদ্ধ হইয়া গেল। তাহার পর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের জ্যেষ্ঠপুত্র মাতাকে বলিলেন, “মা, এতদিন বাবা [ ఫెty